ইউক্রেন থেকে পালিয়ে প্যারিসে, নতুন জীবন শুরুর পথে যমজ বোন

গত ৫ মার্চ মায়ের সঙ্গে ইউক্রেন ছাড়েন দুই বোন। উঠেছেন প্যারিসে মায়ের এক বান্ধবীর আবাসনে।

গত ৫ মার্চ মায়ের সঙ্গে ইউক্রেন ছাড়েন দুই বোন। উঠেছেন প্যারিসে মায়ের এক বান্ধবীর আবাসনে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

প্রতীকী ছবি

ভাষাগত বাঁধাকে অতিক্রম করে ইউক্রেন থেকে প্যারিসে পালিয়ে আসা দুই যমজ বোন আবার তাদের পড়াশুনা চালু করেছে। ইতিমধ্যেই প্যারিসের একটি উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছে তারা। জানা গিয়েছে যমজ দুই বোনের নাম মাশা এবং সাশা লিটকোভস্কা। এদিকে ফরাসিকে ভাষাকে দ্বিতীয় ভাষা হিসাবে ইতিমধ্যেই ক্লাস শুরু করেছে তারা। স্কুলের তরফে মিলেছে সবরকম সাহায্য।

Advertisment

ভাষাগত সমস্যার সমাধানে মিলেছে স্কুলের তরফেই দো-ভাষীর সাহায্য। সকলের সঙ্গে আবার স্কুল জীবনে ফিরতে পেরে খুশি তারা। তবে পরিবারের জন্য উৎকণ্ঠা এখনও তাদের পিছু ছাড়ছে না। সাশা বলেন ‘আমরা এখানে নতুন ভাবে জীবন শুরু করতে পেরেছি। কিন্তু যুদ্ধের মধ্যে আটকে রয়েছে আমাদের বাবা। ওনাকে নিয়ে সবসময় চিন্তা হয়। আমরা জানিনা উনি কেমন আছেন, আমাদের পরিবার কেমন আছে! একটা ফোনের অপেক্ষায় দিন গুনছি’।

গত ৫ মার্চ মায়ের সঙ্গে ইউক্রেন ছাড়েন দুই বোন। উঠেছেন প্যারিসে মায়ের এক বান্ধবীর আবাসনে। "আমি খুশি যে আমি কিয়েভে নেই, এবং ইউক্রেনেও নেই, আমি আমার মেয়েদের নিয়ে নিরাপদে পালিইয়ে আসতে পেরেছি, ওদের বাবার জন্য চিন্তায় রয়েছি, জানালেন মা!

Advertisment

এদিকে স্কুলের তরফে প্রধান একাডেমিক অফিসার ক্রিস্টোফ কেরেরো বলেন, “আমাদের স্কুলে ভিনদেশী পড়ুয়াদের জন্য বেশ কিছু আসন বাড়ানো হয়েছে। এই দুই বোন আমাদের স্কুলে ভর্তি হয়েছে। তারা নিয়মিত ক্লাস করছে ভাষাগত কিছু সমস্যা রয়েছে। আমরা আশাবাদী খুব দ্রুত ওরা ভাষার বেড়াজাল কাটিয়ে উঠে সকলের সঙ্গে মিলেমিশে একসঙ্গে ক্লাস করতে পারবে”।

রাস্ট্র সংঘের হিসাবে ইতিমধ্যেই দেশ ছেড়েছেন প্রায় ৩০ লক্ষ ইউক্রানীয়ান। তাদের মধ্যে বেশিরভাগ আশ্রয় নিয়েছেন পোল্যান্ডে। সেই সঙ্গে সকল প্রতিবেশী দেশেই ছড়িয়ে ছিটিয়ে আশ্রয় নিয়েছে ভিটে মাটি হীন অসহায় মানুষগুলো। এর মাঝেই অনেকে মানবিক ছবি উঠে এসেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। তার সাম্প্রতিক তম উদাহরণ দুই বোনের আবার স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসা।

Kyiv School in Paris