বিয়ের আসর! ভরা বিয়ে বাড়িতে তখন হাজির বর যাত্রী থেকে কনের আত্মীয় স্বজন, বন্ধু-বান্ধব। ঠাকুর মশাই বিয়ের অর্ধেক কাজ সম্পন্ন করেছেন। বাকী রয়েছে সাত পাকে ঘোরা! অথিতি অভ্যাগতরা তখন খাওয়া দাওয়ায় মগ্ন। বিরিয়ানি থেকে মটন কষা গন্ধে জিভে জল আসার জো। রাজভোগ পান্তুয়ায় মজে তখন সকলে।
ঠিক এমন সময়েই শুরু হল সাতপাকে ঘোরা। অনুষ্ঠান দেখতে গোল করে ভিড় করে রয়েছেন সকলেই। হঠাৎ ২ পাক ঘোরার পরই কনে এক জায়গায় দাঁড়িয়ে পড়লেন। সকলে প্রথমে ভাবলেন হয়ত বা কনের শরীর খারাপ অথবা মাথা ঘোরাচ্ছে! কিন্তু কনের কথা শুনে সকলের চোখ কপালে। পাত্র কালো, না পসন্দ। অতএব এ বিয়ে আর করবেন না। সাফ জানিয়ে দিলেন কনে।
উত্তরপ্রদেশের এটাওয়ার ঘটনা। এখন তুমুল ভাইরাল নেটমাধ্যমে। কনের এহেন কাণ্ডে সকলেই হাঁ। পাত্র রবি যাদবের সঙ্গে কনে নীতার বিয়ে ঠিক হয়েছিল গত বৃহস্পতিবার। পাত্র স্বাবলম্বী। নেশাভান করেন না বলেই জানা গিয়েছে। খুঁতের মধ্যে গায়ের রঙটাই একটু চাপা। তা’বলে বিয়ের আসরে এমন হেনস্থার মুখে পড়তে হবে তা হয়ত ঘুণাক্ষরেও ভাবতে পারেননি পাত্র নিজেও।
অগত্যা সকলে মিলেই চলে কনেকে বোঝানোর কাজ। তাতে অবশ্য বিশেষ লাভ হয়নি। গোঁ ধরেই বসে থাকেন পাত্রী। কালো পাত্রকে কোন মতেই বিয়ে করবেন না বলেই পরিবারকে জানান। কনের বাড়ির লোকের অভিযোগ যে পাত্রকে বিয়ের আগেই দেখানো হয়েছিল এ পাত্র সে পাত্র নয়।
আরও পড়ুন: <
এমন গুরুতর অভিযোগ অবশ্য মানতে চাননি পাত্রের পরিবার। পাত্রের পরিবারের দাবি, বিয়ে বাবদ সোনা গয়না বাবদ কয়েক লক্ষ টাকার সামগ্রী নিয়ে এখন মেয়ে বেঁকে বসেছে। শেষমেশ বুঝিয়ে সুঝিয়ে কোন লাগ না হওয়ায় হতাশ হয়েই পাত্রের বাড়ির লোক ফিরে যেতে বাধ্য হন। যাবার সময় করুণ চোখে পাত্র কনের মুখের দিকে তাকিয়ে নিজের হতাশা বারবার যেন প্রকাশ করতে থাকেন।
তবে পাত্রের বাবার এমনিতে ছাড়ার পাত্র না। সরাসরি থানায় দিয়ে কনে এবং তার পরিবারের নামে প্রতারণার অভিযোগ আনেন। তাতে বলা হয়েছে বিয়ে বাবদ যে সোনা গয়না মেয়েকে দিয়েছিলেন তার কানাকড়িও তিনি ফেরত পাননি। এব্যাপারে পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে পাত্রের বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে তারা।