বিমানে যাত্রীদের সঙ্গে সওয়ার সাপ। স্থানীয় সময় অনুসারে বৃহস্পতিবার কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে এয়ার এশিয়ার একটি উড়ান একে৫৭৪৮ তাওয়াউ, সাবাহর উদ্দেশে যাচ্ছিল। সেই বিমানের মধ্যেই এই ঘটনা ঘটেছে। বিমানের আসনের উপর দিকে যেখানে ব্যাগ রাখা হয় সেখানেই দেখা গিয়েছিল সাপটিকে। এদিকে বিমানের মধ্যে সাপ দেখে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে যাত্রীদের মধ্যে। এই ঘটনার কথা স্বীকার করে নিয়েছে এয়ার এশিয়া কর্তৃপক্ষ।
Advertisment
কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বিকেল ৫টা ৪১ মিনিটে রওনা দিয়েছিল বিমানটি। প্রায় এক হাজার ৮০০ কিলোমিটার যাওয়ার পর প্রথমে একজন টিকটক ব্যবহারকারী ওই সাপটিকে দেখতে পান। তারপরই সেই দৃশ্য ক্যামেরাবন্দী করে রাখেন তিনি। সেখানে দেখা গিয়েছে, সাপটি হ্যান্ড লাগেজ রাখার কম্পার্টমেন্টের এক পাশ থেকে অন্য পাশে ধীরে ধীরে যাচ্ছে। এদিকে মাঝ আকাশে বিমানের মধ্যে সাপ দেখে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে যাত্রীদের মধ্যে। সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি জানানো হয় ক্যাপ্টেনকে। এরপর তিনি বিমানটিকে ধোঁয়া দেওয়ার জন্য গন্তব্যের প্রায় এক হাজার ৫০০ কিলোমিটার আগে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে কুচিংয়ে ঘুরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। সন্ধে ৭টা বেজে ১৩ মিনিটে কুচিংয়ে বিমানটিকে অবতরণ করানো হয়।
তবে সাপটি কোন প্রজাতির তা এখনও জানা যায়নি। তাছাড়া সাপটি বিমানের ভিতরে কি করে এলো, তাও ধোঁয়াশায় রয়েছে। সাপটি বিমানে কোন যাত্রী নিয়ে উঠেছিলেন কিনা তাও এখন ও স্পস্ট নয়। কুচিংয়ে বিমান থেকে সাপটিকে উদ্ধার করা হয়। তারপর নিয়ম মেনে বিমানটি সম্পূর্ণ স্যানিটাইজ করে যাত্রীদের নিয়ে কুচিংয়ে রওনা দেয় ওই বিমান। এয়ার এশিয়া কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, সাপটির দ্বারা কোনও যাত্রীর ক্ষতি হয়নি। বিষয়টি জানার পরই সঙ্গে সঙ্গে কুচিংয়ে বিমানটিকে অবতরণ করান ক্যাপটেন।সাধারণত কোনও বিমান আসা যাওয়ার সময়ে নিরাপত্তার স্বার্থে তল্লাশি চলে। কিন্তু, এয়ার এশিয়ার এই বিমানটি কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সাবাহে ওড়ার আগে সাপটি কারও নজরে এল না কেন? এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। তার পাশাপাশি বিমানে যাত্রী নিরাপত্তা নিয়েও সংশয় তৈরি হয়েছে।