ইন্টারনেটের (Internet) যুগে এক সেকেন্ডের জন্যও যেন নেটওয়ার্ক ইস্যু (Internet Outage) হলে থকমে যায় কাজকর্ম। বিশেষত অতিমারি কোভিড পরিস্থিতিতে ওয়ার্ক ফর্ম হোমের দরুণ ইন্টারনেটের ব্যবহার বহু অংশে বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই ক্ষণিকের নেট ইস্যুতে পরিস্থিতি বেসমাল হয়ে পড়ে। ১১ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার সকাল ১১ টা ৩০ মিনিট থেকে এই রকমই সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে এয়ারটেলের নেট ব্যবহারকারীরা (Airtel Net Users)। বড়সড় ইন্টারনেট ইস্যুর (Internet Issue) জন্য সমস্যায় পড়েছিলেন গ্রাহকরা। কয়েক ঘন্টার মধ্যে সমস্যার সমাধান করা হবে বলে জানান হয়েছিল এয়ারটেল সংস্থার পক্ষ থেকে। এই টেলিকম সংস্থার পক্ষ থেকে তাদের টুইটার পেজে এই ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে সকল গ্রাহকদের অসুবিধার জন্য ক্ষমাও চেয়েছে এয়ারটেল। পরিষেবা স্বাভাবিক করতে জোড়কদমে চলেছে কাজ বলেও জানান হয়। খুব শীঘ্রই গ্রাহকরা পুরনো ছন্দে এয়ারটেলের ইন্টারনেট পরিষেবা (Airtel Internet Service)ফিরে পাবে বলে টুইটে জানিয়েছিল এয়ারটেল (Airtel)। উল্লেখ্য প্রায় ৩ হাজার ৭২৯ জন এয়ারটেল ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর অভিযোগ জমা পড়েছে।
এয়ারটেল সংস্থার (Airtel) এক মুখপাত্র (Spokeperson) জানিয়েছেন, প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে আজ সকাল থেকেই ইন্টারনেট পরিষেবাগুলি ব্যাহত হয়েছিল। তবে পরিষেবাগুলি সম্পূর্ণরূপে পুনরুদ্ধারও করা হয়েছিল। প্রযুক্তিগত ত্রুটিটা (Technical fault) ঠিক কী ধরনের সেটা অবশ্য এখনও স্পষ্ট নয়। যতদূর মনে করা হচ্ছে রাত ১২ টা বেজে ৩০ মিনিটে এই প্রযুক্তিগত ত্রুটির সুত্রপাত। তবে রাত ১২ টা ৩০ মিনিটের মধ্যে সেই ক্রটি নির্মূল করা হয়েছিল বলে জানান তিনি। সেই সময় বহু গ্রাহক ইন্টারনেট পরিষেবা (Internet Service) সম্পূর্ণ থমকে গিয়েছে বলে অভিযোগ দায়ের করেছেন।
গোটা ভারত জুড়ে তৈরি হয়েছিল এই সমস্যা তৈরি হয়েছিল। ভারতের বিভিন্ন প্রান্ত যেমন দিল্লি থেকে মুম্বই, ইন্দোর থেকে কলকতা ও আহমেদাবাদের মত শহরে এয়ারটেলের ইন্টারনেট পরিষেবায় সমস্যা দেখা যায়। এয়ারটেল পরিষেবা ফের স্বাভাবিক হলেও সোশ্যাল মিডিয়া জুড়েই মিম ট্রোল অব্যাহত থাকে। একের পর এক মিমে ভরে ওঠে নেটদুনিয়া। ব্যবহারকারীরা #AirtelDown হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে মিম এবং পোস্ট করে সংস্থাকে ট্যাগও করেন। অনেকেই আবার এয়ারটেল থেকে অন্য ব্র্যান্ডে স্যুইচের কথাও জানিয়েছেন। সব মিলিয়ে সার্ভার ডাউনের জেরে ব্যাপক ট্রোলের মুখে পড়তে হয়েছে এয়ারটেলকে। একজন ব্যবহারকারী এই বলেও মন্তব্য করেছেন যে, 'এই প্রজন্ম জানে না কিভাবে একজন কাস্টমার কেয়ার এক্সিকিউটিভের সঙ্গে কথা বলতে হয় কিন্তু ব্র্যান্ডটিকে মিম ট্যাগ করে তার সমস্যা সমাধানের জন্য।"