স্কুল-কলেজ বন্ধ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় সমালোচনার ঝড়। এর মাঝে একই দাবি জানাতে অভিনব উপায় বের করলেন আলিপুরদুয়ারের পেশায় শিক্ষক অসীম দাস। নিজের বিয়ের অনুষ্ঠানকেই হাতিয়ার করেছেন। রাজ্যে স্কুল খোলার দাবিতে গলায় প্ল্যাকার্ড ঝুলিয়ে বিয়ের পিঁড়িতে বসলেন আলিপুরদুয়ারের এক শিক্ষক। অসীম দাস নামে ওই শিক্ষকের এহেন কাণ্ড রীতিমতো ভাইরাল নেটদুনিয়ায়। সেই প্ল্যাকার্ডে লেখা, ‘করোনার স্বাস্থ্যবিধি মেনে আমরা বিয়ে করতে পারলে স্কুলগুলিও খোলা হোক।’
আলিপুরদুয়ারের বাসিন্দা পেশায় শিক্ষক অসীম দাস ওই জেলারই কুমারপাড়া মথুরাবাগান প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন। সোমবারই সাত পাকে বাঁধা পড়েন তিনি। কোভিডবিধি মেনেই বিয়ের পিঁড়িতে বসেন। তাঁর দাবি, ‘সবকিছুই যেখানে নিয়ম মেনে চলছে তাহলে স্কুলগুলিই বা কেন বন্ধ থাকবে?’
তিনি আরও জানান, ‘যে স্কুলে শিক্ষকতা করি সেখানকার ছাত্রছাত্রীদের স্কুল ছাড়া পড়াশোনার আর কোনও উপায় নেই। এতদিন ধরে স্কুল বন্ধ। তাঁদের পঠন-পাঠন ঠিকমতো হচ্ছে না। আমরা বেতন পাচ্ছি প্রতিমাসে। কিন্তু শিক্ষা? সেটাই বন্ধ হয়ে আছে। তাই অনুরোধ, স্বাস্থ্যবিধি মেনে খুব দ্রুত স্কুল খোলা হোক।’ প্রসঙ্গত, নেটদুনিয়ায় স্কুল খোলা নিয়ে দাবি জানাচ্ছেন পড়ুয়া থেকে শুরু করে অভিভাবকরা। আর এবার স্কুল খোলার দাবিতে এই অভিনব পন্থা নিলেন আলিপুরদুয়ারের এই শিক্ষক।
করোনা অতিমারী থেকে বাঁচতে রাজ্য জুড়ে জারি হয়েছে একাধিক বিধিনিষেধ। কিছু শিথিলতা থাকলেও জনজীবন একেবারে যে স্বাভাবিক হয়েছে তা বলা যায় না। নৈশ কার্ফু, বাজার বন্ধের মতো একাধিক নিয়মাবলী মেনে চলতে হচ্ছে রাজ্যবাসীকে। করোনার কারণে বেঁধে দেওয়া হয়েছে বিয়ের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিতের সংখ্যাও।
তবে প্রথমে ৫০ থেকে বাড়িয়ে সেই সংখ্যা ২০০ করা হয়েছে। অর্থাৎ দু'শো জন অতিথির উপস্থিতিতে হতে পারে অনুষ্ঠান। এমনই নির্দেশ সরকারের তরফে। এমনকী খোলা মাঠেও অনুষ্ঠানে ছাড় রয়েছে। কিন্তু এখনও বন্ধ স্কুল, কলেজ ইত্যাদি বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। সেই নিয়েই উত্তাল রাজ্য-রাজনীতি। এদিকে স্কুল খোলা নিয়ে ছাত্র সংগঠন এসএফআই কলকাতায় একাধিকবার বিক্ষোভ দেখিয়েছে। সেই সঙ্গে স্কুল খোলার দাবি নিয়ে সরব হয়েছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ থেকে শুরু করে, অভিভাবকরাও। এবার তাতে নতুন সংযোজন গলায় প্ল্যাকার্ড ঝুলিয়ে স্কুল খোলার দাবি!