খুব সকালে ঘুম থেকে উঠে ঘর-দুয়ার পরিষ্কার করে মাঠে যাওয়া। সেখানে পালং শাক সহ কিছু শাক সবজী তুলে নিয়ে বাজারে গিয়ে সেগুলি বিক্রি বাট্টা করে তারপর ঘরে এসে স্নান খাওয়া সেরে দুপুরে একটু দালানে বসে রোদ পোহানো। কখনও আবার একটু আধটু বিশ্রাম। এই তার প্রতিদিনের রুটিন। তার কাছে বয়স নেহাতই একটা সংখ্যা। ১০৭ বছর বয়সেও দিব্যি এই সকল কাজ করে সংসার সামলাচ্ছেন বাঁকুড়ার অমলা দে।
সামান্য ব্যথা বেদনা ছাড়া তেমন কোন শারীরিক সমস্যা নেই তার। অবশ্য চিনতে ভুল হয় মাঝে মধ্যেই। অমলাদেবীর কথায়, “ছেলে ছাড়া কাউকে তেমন চিনতে পারিনা”। তিনি জানান, “প্রতিদিন সকলের সঙ্গে হাসি আনন্দেই জীবন কেটে যায়”।
সঠিক বয়স না বলতে পারলেও তাঁর কথায় প্রায় এক শতাব্দী আগে তাঁর জন্ম। মাত্র ১০ বছর বয়সেই স্বামীর ঘর করতে আসেন তিনি। মদ্যপ স্বামী লিভারের অসুখের কারণে মারা গেছেন বহুদিন আগেই। এখন ছেলে বৌমাকে নিয়ে সুখের সংসার তার।
আগে থাকতেন নদীয়াতে। বিয়ের পর থেকেই বাঁকুড়াতেই থাকেন। মায়ের কথা বলতে গিয়ে ছেলে তপন দে জানান, “মায়ের বয়স ১০৭ বছর। ছোটখাটো শারীরিক সমস্যা ছাড়া তেমন কোন সমস্যা নেই তাঁর। তবে মাঝে মধ্যেই চিনতে পারেননা কাউকেই। সকাল থেকে খেতে গিয়ে পালংশাক তুলে এনে বাজারে বিক্রি করে দুপুরে বাড়ি আসা এই মায়ের প্রতিদিনের রুটিন। ক্লান্তি কি তা মা জানেন না”।