New Update
/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2019/10/bangladesh-mp.jpg)
বাংলাদেশের শাসকদল আওয়ামী লীগের ওই সাংসদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি কমপক্ষে ১৩টি পরীক্ষায় তাঁর জায়গা নেওয়ার জন্য টাকার বিনিময়ে তাঁর মতো দেখতে মহিলাদের নিযুক্ত করেন।
একজন নয়, দুজন নয়, এক্কেবারে আট আটজন! তাও আবার পরীক্ষায় প্রক্সি দিতে! আজ্ঞে হ্যাঁ, অভিনব এই 'কুকর্ম' করার অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কৃত হলেন এক বাংলাদেশী রাজনীতিক। খবরে প্রকাশ, তাঁর হয়ে পরীক্ষায় বসতে আটজন কমবেশি একই চেহারার মহিলাকে নিয়োগ করেন ওই রাজনীতিক।
সংবাদ সংস্থা এএফপি জানাচ্ছে, বাংলাদেশের শাসকদল আওয়ামী লীগের ওই সাংসদের নাম তমন্না নুসরত। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি কমপক্ষে ১৩টি পরীক্ষায় তাঁর জায়গা নেওয়ার জন্য টাকার বিনিময়ে তাঁর মতো দেখতে ওই মহিলাদের নিযুক্ত করেন।
পরীক্ষার হলেই হাতেনাতে ওই আট মহিলার একজনকে ধরে ফেলে একটি প্রাইভেট টিভি চ্যানেল, এবং অচিরেই ভাইরাল হয়ে যায় ঘটনাটির ভিডিও। ২০১৮ সালে সংসদে নির্বাচিত তমন্না বাংলাদেশ ওপেন ইউনিভার্সিটিতে ব্যাচেলর অফ আর্টস কোর্সে ভর্তি হয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: ভয়াবহ সিসিটিভি ফুটেজ! দোতলার ছাদ থেকে পড়ে গেল এক শিশু
বিবিসি-র একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, তমন্না ঢাকার নরসিংদী জেলার প্রয়াত মেয়র লোকমান হোসেনের স্ত্রী। ২০১১ সালে বন্দুকের গুলিতে নিহত হন লোকমান। বর্তমানে যে আসন থেকে সংসদে নির্বাচিত হয়েছেন তমন্না, সেটি মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত।
বাংলাদেশ ওপেন ইউনিভার্সিটির প্রধান এম এ মান্নান একাধিক সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন যে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে তমন্নাকে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিশ্ববিদ্যালয়ের আরও এক আধিকারিক দাবি করেছেন যে ওই পরীক্ষা দিতে আসা ওই মহিলাদের 'সুরক্ষার' জন্য মোতায়েন থাকতেন কিছু মাইনে করা পুরুষ, কিন্তু তমন্নার পারিবারিক প্রভাবের ভয়ে কেউ এ ব্যাপারে মুখ খুলতে চান নি।
এখন পর্যন্ত অভিযোগের বিরুদ্ধে কোনও প্রতিক্রিয়া দেন নি ওই সাংসদ।