তিন বছর ধরে কয়েন জমিয়ে স্বপ্নের বাইক কিনেছেন তামিলনাড়ুর এক যুবক। জানা গিয়েছে ওই যুবকের নাম ভি ভূপতি। তিন বছরের সঞ্চয়ের কয়েনে ২.৭৬ লাখ টাকার বাইক কিনে সকলকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন বছর ২৯ এর ওই যুবক। এবার তামিলনাড়ুর পুনরাবৃত্তি বাংলাতেও। এক টাকার কয়েনে লাখ টাকার বাইক কিনলেন নদীয়ার রাকেশ পাঁড়ে।
Advertisment
জানা গিয়েছে তার মা ধুলু পাঁড়ে ভিক্ষাবৃত্তি করেন। তাঁর অনেক দিনের ইচ্ছা ছেলেকে একটি বাইক কিনে দেওয়ার। ছেলে রাকেশ কলকাতার একটি বেসরকারি সংস্থায় স্বল্প মূল্যের বেতনের কাজ করেন। তার কথায়, ‘তামিলনাড়ুর ঘটনার কথা সামনে আসতেই মনোবল বেড়ে যায়, মায়ের দেওয়া ৭০ হাজার টাকার কয়েন নিয়ে সোজা শোরুমে যাই। সেখানে প্রথমে নিতে রাজী না হলেও পরে রাজী হওয়ায় আমি আমার স্বপ্নের বাইক কিনে বাড়ি আনি। যা দেখে মা বেজায় খুশি’।
কেমন ছিল বাইক কেনার অভিজ্ঞতা? রাকেশের কথায়, অতটাকা খুচরো নিয়ে বাইক কিনতে যাওয়ার সাহস আগে হয়নি। তারপর বন্ধুরা সবাই মিলে আমাকে তামিলনাড়ুর যুবকের কথা বলতে আমিও বাইক কেনার ব্যপারে আগ্রহী হই। মাকে বলতেই মা আমাকে জমানো ৭০ হাজার টাকা দিয়ে দেন। আর সেই টাকা নিয়ে সোজা চলে যাই শোরুমে বাইক কিনতে।
সূত্রের খবর, চৈত্রের দুপুরে সবে লাঞ্চ শেষ করে একটু বিশ্রাম নিচ্ছিলেন শোরুমের কর্মীরা। হটাত করেই রাকেশ তার বন্ধু বান্ধব নিয়ে হাজির হন শোরুমে। প্রথমেই দেখা করেন ম্যানেজারের সঙ্গে। সব শুনে ম্যানেজার তখন এসিতে থেকে দরদর করে ঘামতে শুরু করেছেন।
এদিকে চালু টাকা নিয়েই ক্রেতা বাইক কিনতে এসেছেন তাকে না করতেও পারবেন না। কাজেই উপায় না দেখে হ্যাঁ করেন তিনি। রাকেশ এবং সঙ্গের বন্ধুদের মধ্যে তখন বাঁধভাঙ্গা উচ্ছ্বাস। তড়িঘড়ি একের পর এক পাত্রে আনা খুচরো টাকা নিয়ে শোরুমে এসেই মেঝেয় ঢেলে দেন।
দীর্ঘক্ষণের চেষ্টায় সেই কয়েক গোনার কাজ সম্পন্ন করেন শোরুমের কর্মচারীরা। পরে হিসাব মিলে গেলে রাকেশের হাতে তার সাধের বাইকের চাবি তুলে দেন তারা। বাইকের চাবি পেয়ে বেজায় খুশি রাকেশ। একটাকার কয়েনেও যে স্বপ্ন পূরণ করা সম্ভব, বন্ধুরা পাশে না থাকলে সেটা জানতেই পারতাম না বলছেন রাকেশ।