বয়ফ্রেন্ডের মাংস হাড় পাঁজরে তৈরি বিরিয়ানি!

প্রেমিককে হত্যা করে শরীরের পচনশীল মাংস কেটে বিরিয়ানি রেঁধেছেন গার্লফ্রেন্ড। জাফরান, জয়িত্রি ও আতরের গন্ধে ঠাহর করা সম্ভব হয়নি যে মানব মাংসের তৈরি ওই বিরিয়ানি।

প্রেমিককে হত্যা করে শরীরের পচনশীল মাংস কেটে বিরিয়ানি রেঁধেছেন গার্লফ্রেন্ড। জাফরান, জয়িত্রি ও আতরের গন্ধে ঠাহর করা সম্ভব হয়নি যে মানব মাংসের তৈরি ওই বিরিয়ানি।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

দিন কয়েক আগে পাকিস্তানে ছিল মাচবুস উৎসব। যার মূল লক্ষ্যই থাকে খাওয়াদাওয়া। উৎসবের শুরু ও শেষে মেনু জুড়ে ছিল বিরিয়ানি। যা ঐ এলাকার ঐতিহ্যবাহী ডিশ। আরব আমিরশাহীতে বসবাসকারী একদল পাকিস্তানী  ঠিক করেছিলেন, উৎসবে বিরিয়ানি খাবেন তাঁরা। কিন্তু সে বিরিয়ানি যে তাদের এশিয়ান এক্সট্রিম সিনেমার কথা মনে করাবে, তা কল্পনাতেও ভাবতে পারেননি।

Advertisment

৩০ বছরের এক মরোক্কান মহিলা তাঁর প্রেমিকের ওপর রাগে, ধিক্কারে কবর খনন করে তুলে এনেছেন প্রেমিকের দেহাবশেষ। সেই শরীরের পচনশীল মাংস কেটে বিরিয়ানি রেঁধেছেন ঐ গার্লফ্রেন্ড। প্রথমে জাফরান, জয়িত্রি ও আতরের গন্ধে ঠাহর করা সম্ভব হয়নি মানব মাংসে তৈরি বিরিয়ানি। আবু ধাবিতে জাতীয় সংবাদপত্র জানায়, মরক্কোর অন্য আরেক মহিলাকে বিয়ে করার পরিকল্পনা করেছিলেন প্রেমিক, সে কারণে তাঁকে হত্যা করেন তাঁর বান্ধবী। তাতেও রাগ ও ক্ষোভ শান্ত হয়নি। শেষে ওই মৃতদেহ তুলে নিয়ে এসে রেঁধে ফেললেন বিরিয়ানি।

খালিজ টাইমসের মতে, মহিলা পুলিশকে জানিয়েছিলেন যে তিনি প্রতারণার শিকার হয়ে তাঁর ২০ বছর বয়সী প্রেমিককে নৃশংসভাবে জবাই করেছিলেন। উৎসবের দিন শ্রমিকদের বিরিয়ানির কিছু অংশ পরিবেশন করার পর, এলাকার কুকুরদের অবশিষ্টাংশ দিয়ে দেন।

Advertisment

আরও পড়ুন: ভারত থেকে ‘দৈত্যাকার হৃদযন্ত্র’ সঠিক মাপে কাটিয়ে ঘরে ফিরল পাকিস্তানের শিশু

কয়েক মাস আগে এই হত্যাকাণ্ডটি ঘটে। তখনই এই হত্যার ঘটনা আলোড়ন তুললেও প্রমাণ না পাওয়ার কারণে অভিযুক্ত অবধি পৌছানো যাচ্ছিল না। অবশেষে মৃতের ভাই সেই প্রাক্তন প্রেমিকার বাড়িতে দাদার খোঁজ নিতে যান, এবং ব্লেন্ডারে একটি মানুষের দাঁত দেখতে পান। ভাই অভিযোগ জানান যে তার দাদা নিঁখোজ। অভিযুক্ত মহিলা সেকথা অস্বীকার করার পাশাপাশি পাল্টা অভিযোগ করেন, অন্য কোনও মহিলাকে বিয়ে করার পরিকল্পনা করে চলে গেছেন তাঁর দাদা।

পরে ডিএনএ পরীক্ষা নিশ্চিত করে যে ওই দাঁত মৃত দাদারই। জিজ্ঞাসাবাদের পর মহিলা স্বীকার করেন তিনিই খুন করেছেন তাঁর প্রেমিককে। পরে তিনি একজন বন্ধুর কাছ থেকে সাহায্য গ্রহণ করেছিলেন তাঁর অ্যাপার্টমেন্ট পরিষ্কার করার জন্য।

তিনি মানসিক দিক দিয়ে অসুস্থ কিনা তা নির্ধারণ করার জন্য মহিলাটিকে চিকিৎসাধীন রাখা হয়েছে, যদিও সংবাদ সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের একটি রিপোর্ট অনুসারে, তদন্ত শেষ হওয়ার পর তাঁকে কড়া শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে।