ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনায় এক পা বাদ যায় বিহারের এক কিশোরীর। সেই তখন থেকেই এক পা সঙ্গী করে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে স্কুল যায় সে নিত্যদিন। পিঠে ভারী ব্যাগের বোঝা। মাথার ওপরে গনগনে সূর্য। মাঠ-ক্ষেত পেরিয়ে খালি পায়ে এক পায়ে হেঁটেই স্কুল-সফর করতে তাকে রোজ। ইন্টারনেটে ভাইরাল হয়েছে ১০ বছরের মেয়ের করুন জীবন কথা।
কঠিন চ্যালেঞ্জের মধ্যেও নিজের পড়াশুনা চালিয়ে যাওয়ার জন্য কিশোরীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ সকলেই। কিশোরীর ইচ্ছাশক্তিকে কুর্নিশ জানিয়েছে নেটিজেনরা। জামুইয়ের বাসিন্দা ওই কিশোরী। রোজ একাই এমন যুদ্ধ করতে স্কুলে যেতে হয় তাকে। এদিকে পরিবারে আর্থিক অনটনে। যেখানে দু বেলা দু মুঠো অন্নসংস্থান করা কঠিন, সেই পরিবারে মেয়ের চিকিৎসার কথা ভাবতেও পারেননি তার মা-বাবা।
অতঃপর করুণ পরিস্থিতি দেখে ওই কিশোরীর স্কুলে যাওয়ার একটি ভিডিও পোস্ট করেন এক সহৃদয় ব্যক্তি। সেই ভিডিও-ই ভাইরাল হয়েছে মুহূর্তেই। যা ওই কিশোরীর জীবনকে আমূল বদলে দিয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় এমন কাহিনী চোখে জল এনেছে অনেকের সীমার ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পরপরই, জামুই জেলা ম্যাজিস্ট্রেট অবনীশ কুমার এবং আরও কয়েকজন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ওই কিশোরীকে স্কুলে যাতায়াতের সুবিধার জন্য একটি ট্রাই সাইকেল উপহার দেন। অভিনেতা সোনু সুদও সীমার প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন।
এদিকে আজ সকালে টুইটারে আইপিএস স্বাতী লাকড়া, একটি ছবি শেয়ার করেছেন যেখানে দেখা যাচ্ছে কৃত্রিম পায়ে সীমা দাঁড়িয়ে রয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ার সৌজন্যেই সীমা তার হারানো পা ফিরে পেয়েছে। এই ছবি মুহূর্তেই ভাইরাল হয়। আইএএস অবনীশ শরণও তার টুইটার অ্যাকাউন্টে সীমার ছবি শেয়ার করার সময় সোশ্যাল মিডিয়ার শক্তির প্রশংসা করেছেন। তিনি টুইট করেছেন, “সোশ্যাল মিডিয়ার ক্ষমতা”! দু বছর আগে সীমা তার গ্রামেই এক দুর্ঘটনার সম্মুখীন হন। একটি ট্রাক্টরের চাকার নিচে পড়ে তার পা বাদ যায়। তা সত্ত্বেও, সীমা হাল ছাড়েনি। তার পড়াশুনা চালিয়ে যায় সীমা।বড় হয়ে শিক্ষক হতে চায় আজকের ছোট সীমা।