বিয়ের কথা বলা মাত্রই মনে আসে সুখের চিন্তা, রঙিন আচার-অনুষ্ঠান এবং অনন্য ঐতিহ্য। প্রতিটি ধর্ম, সংস্কৃতি ও দেশের বিশেষ বিবাহের প্রথা রয়েছে, তবে মাঝে মাঝে কিছু অদ্ভুত এবং উদ্ভট প্রথাও দেখা যায় যা অবাক করে দেয়।
আপনি কি জানেন যে একটি দেশে এমন একটি প্রথা আছে যেখানে বিয়ের পর তিন দিন বর-কনেকে টয়লেটে যেতে দেওয়া হয় না? আসলে, এই অদ্ভুত প্রথাটি ইন্দোনেশিয়ার টিডং সম্প্রদায়ে পালিত হয় এবং এর পিছনে রয়েছে কিছু বিশেষ বিশ্বাস।
ইন্দোনেশিয়ার টিডং সম্প্রদায়ের লোকেরা বিশ্বাস করে যে বিবাহ একটি পবিত্র অনুষ্ঠান। এই রীতি অনুসারে, বিয়ের তিনদিন পর বর-কনেকে টয়লেটে যেতে নিষেধ করা হয়। টিডং সম্প্রদায় বিশ্বাস করে যে টয়লেটগুলি নোংরা এবং নেতিবাচক শক্তিকে আশ্রয় করে।
টিডং সম্প্রদায় বিশ্বাস করে যে নববিবাহিত দম্পতি যদি বিয়ের পরপরই টয়লেট ব্যবহার করে তবে তারা নেতিবাচক শক্তি দ্বারা প্রভাবিত হতে পারে। বিয়ের পরপরই টয়লেটে যাওয়া নববিবাহিত দম্পতির পবিত্রতা লঙ্ঘন করে।
এটি একটি অশুভ লক্ষণ হিসাবে বিবেচিত হয় এবং এটি বিবাহিত জীবনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। বর ও কনে যদি এই স্থানগুলি ব্যবহার করে, তাহলে তাঁরা কুনজর দ্বারা প্রভাবিত হতে পারে, যা তাঁদের দাম্পত্য জীবনে কলহ, ফাটল বা অন্যান্য সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে।
অতএব, তাঁদের জন্য এই আচারটি করা গুরুত্বপূর্ণ, যাতে তাঁরা কুনজর থেকে রক্ষা পান এবং তাঁদের বিবাহিত জীবন সুখী হয়। এই ঐতিহ্য অনুসরণ করার জন্য, তাঁদের কম খাবার এবং জল দেওয়া হয়, যাতে তাঁরা টয়লেটে যাওয়ার প্রয়োজন অনুভব না করেন।
যাইহোক, এই ধরনের আচার কখনও কখনও স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক প্রমাণিত হতে পারে। এই সময়ে বর ও কনেকে কম খাবার ও জল দেওয়া হয়, যাতে তাঁরা টয়লেট ব্যবহার না করেন। এটি তাদের শারীরিক অবস্থাকেও প্রভাবিত করতে পারে এবং দীর্ঘ সময় ধরে এই ধরনের আচার-অনুষ্ঠান অনুসরণ করা তাঁদের স্বাস্থ্যের জন্য সমস্যা তৈরি করতে পারে।