গতকালই বাংলা পেয়েছে দেশের প্রথম সেমি হাই স্পিড ট্রেন, বন্দে ভারত। প্রথম বন্দে ভারতকে ‘বন্দে বিজেপি’বানাতে প্রচেষ্টায় কোন ত্রুটি রাখেনি বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। স্টপেজ বাড়ানোর দাবি থেকে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জয় ‘শ্রী রাম স্লোগান’। বাদ যায়নি কিছুই। তবে এবার যে ছবি সামনে এসেছে তা দেখে বেজায় চটেছেন নেটপাড়া। বন্দে ভারত ট্রেনের সামনের অংশে খোদাই করা দলের নাম, সঙ্গে স্বস্তিক চিহ্ন। পাশে লেখা ‘মোদী জিন্দাবাদ’! আর এই ছবি এখন রীতিমত ভাইরাল নেটদুনিয়ায়। এভাবে বন্দে ভারত ট্রেনকে ‘বন্দে বিজেপি’বানানোর প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন নেটিজেনদের একাংশ। প্রশ্ন উঠেছে বাংলার বদলে যাওয়া সংস্কৃতি নিয়েও।
এর আগে মঙ্গলবার ট্রেনটিকে হাওড়া স্টেশনে রাখা হয়। আর তখনই বিতর্কের সূচনা হল। একদল অতি উৎসাহী বিজেপি কর্মী–সমর্থক উঠে পড়লেন ওই ট্রেনের কামরায়। সেখানে উঠেই শুরু করে দেন নাচানাচি এবং তুমুল স্লোগান। এই ঘটনায় বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয় হাওড়া স্টেশন চত্বরে। আর বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে লক্ষ্য করে বিজেপির ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান কিছু সময়ের জন্য অনুষ্ঠানের তাল কাটে।
হাত নেড়ে পরিস্থিতি সামাল দিতে আসরে নামতে হয় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবকে। অনেক অনুরোধ করেও তিনি সেই স্লোগান থামাতে ব্যর্থ হন। আর এই নিয়ে দলের অভ্যন্তরেই তৈরি হয়েছে চরম মতভেদ। সরকারি অনুষ্ঠানে কেন জয় শ্রীরাম’ স্লোগান প্রশ্ন তুলেছেন বিজেপি সাংসদ সুরেন্দ্র সিং অহলুওয়ালিয়া। বিষয়টি যে অনুষ্ঠানে অস্বস্তি বাড়িয়েছিল তা হাবেভাবে স্পষ্ট করেছেন রেলমন্ত্রী নিজেও।
এই ঘটনার পর ফের বন্দে ভারতের ছন্দপতন, ডানকুনি স্টেশনে ট্রেন দাঁড়াতেই তাতে উঠে পড়েন উৎসাহী মানুষজন ফলে দশমিনিটের বেশি দাঁড়াতে হয় ট্রেনকে। ফের মসাগ্রামে স্টেশনে ’ভারত মাতা কি জয়’ ও ’জয় শ্রীরাম’ শ্লোগান দিয়ে বিজেপি কর্মীরা মসাগ্রাম স্টেশন প্ল্যাটফর্ম মাতিয়ে দেয়। এবার সামনে এল বন্দে ভারত ট্রেনে হাতে খোদাই ‘বিজেপি’। সঙ্গে লেখা মোদীজি জিন্দাবাদ। আর এই ছবি ফের প্রশ্ন তুলেছে কীভাবে দেশের প্রথম সেমি হাইস্পিড ট্রেনের গায়ে দলের নাম এবং দেশের প্রধানমন্ত্রীর নাম খোদাই করা যায়। ভাইরাল এই ছবি দেখেই ক্ষোভে ফুঁসছে নেটপাড়া।