গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই ব্ল্যাক প্যান্থারের একটি ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছিল। কর্ণাটকের কাবিনি অভয়ারণ্যে চিতাবাঘের এই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড়ের মত আছড়ে পড়েছিল।
তবে জানা গেল, সেই ব্ল্যাক প্যান্থারের একটি বাঘিনী-ও রয়েছে। একটি চিতাবাঘ ও ব্ল্যাক প্যান্থারের সেই ছবিও ভাইরাল হয়। তবে সেই ছবির ফটোগ্রাফার কে, তা নিয়েও তুমুল বিতর্কের জন্ম দিয়ে যায় নেট পাড়ার আলোচনা। পরে জানা যায়, ওয়াল্ডলাইফ ফটোগ্রাফার মিঠুন এইচ ২০১৯ সালে কাবিনি অভয়ারণ্যে এই ছবি তোলেন।
নিজের ইনস্টাগ্রামেই ব্যাঘ্র দম্পতির ছবি শেয়ার করে মিঠুন লেখেন, "চিরন্তন এই কাপল। ব্ল্যাক প্যান্থার সায়া এবং চিতাবাঘ ক্লিওপেট্রা।"
নিজের বিখ্যাত ছবির বর্ণনা দিতে গিয়ে তিনি জানান, "চার বছর ধরে সায়া আর ক্লিওপেট্রা প্রেম করছে। ওরা যখনই একসঙ্গে ঘরে, সেটা দর্শনীয় ব্যাপার হয়ে থাকে।"
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানাতে গিয়ে মিঠুন জানাচ্ছিলেন, "ছয় দিন টানা একই জায়গায় ওদের জন্য অপেক্ষা করছিলাম। ১০০ মিটার দূরেই ওদের মিলনস্থল। তবে ততটা স্পষ্ট ছিল না ওরা।"
এরপর ওরা আরো জানাচ্ছিলেন, "ওরা বড়সড় শিকার করেছিল। শেষ না হওয়া পর্যন্ত ওরা ওই জায়গা ছেড়ে যেতই না। এতদিন ধরে নজরে নজরে রাখার অভিজ্ঞতা কিছুটা হলেও কাজে এসেছিল। ওদের যাওয়া আসার পথে তাই দীর্ঘ ছয় দিনের অপেক্ষা। তবে এই অপেক্ষা স্বার্থক। এই ছবির জন্য ছয় বছর অপেক্ষা করতেও রাজি।"
ওয়াইল্ড লাইফ ফটোগ্রাফার মিঠুন নিজে 'ন্যাট জিও' -র 'দ্য রিয়েল ব্ল্যাক প্যান্থার' শো এর সঙ্গে যুক্ত। তিনি অবশ্য বুঝতে পারেননি। তার তোলা ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় এতটা ভাইরাল হয়ে যাবে। আর ছবির 'ক্রেডিট' নিয়ে যে তুলকালাম পড়ে যাবে নেট দুনিয়ায়, তা-ও জানতে পারেননি।
প্রসঙ্গত, তাঁর তোলা ছবিই অন্য একটি একাউন্ট থেকে ভাইরাল হয়ে যায়। ৫৫ হাজার রিটুইটের পাশাপাশি ৩৭ হাজার লাইকও জুটেছিল সেই ছবির।
সেই বিতর্ক নিয়ে মুখ খুলে মিঠুন জানান, "আমি যেহেতু এই ছবি কপিরাইট হোল্ডার তাই আমাকে ক্রেডিট দেওয়া উচিত। তবে শেষ পর্যন্ত আমাকে কৃতিত্ব দেওয়া হয়েছে। এটাই অনেক।।এখানেই বিতর্কের ইতি পরে গিয়েছে।"