Advertisment

kirti chakra viral video: কথা ছিল ৫০ বসন্ত এক সাথে কাটানোর, কিন্তু.....! শহীদ সেনার স্ত্রীর আবেগঘন ভিডিও ভাইরাল

শ্রদ্ধা জানানোর পর রাষ্ট্রপতি স্মৃতির কাঁধে হাত রেখে সান্ত্বনা দেন।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Droupadi Murmu, Rashtrapati Bhavan, President Droupadi Murmu, Kirti Chakra, Army Medical Corps, Captain Anshuman Singh, Captain Anshuman Singh Widow, Captain Anshuman Singh Widow, Smriti Singh,

শ্রদ্ধা জানানোর পর রাষ্ট্রপতি স্মৃতির কাঁধে হাত রেখে সান্ত্বনা দেন।

kirti chakra viral video: কথা ছিল ৫০ বসন্ত এক সঙ্গে পার করার! কিন্তু কথা রাখা হল না। সিয়াচেনে বীভৎস অগ্নিকাণ্ডে ঝলসে যায় ভালবাসার মানুষটার দেহ। ৫ জুলাই রাষ্ট্রপতি ভবনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে সেনাবাহিনী এবং আধাসামরিক বাহিনীর কর্মীদের কীর্তি চক্র এবং শৌর্য চক্র প্রদান করেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। এদিন শহীদ ক্যাপ্টেন অংশুমান সিংয়ের মা এবং বিধবা স্ত্রী কীর্তি চক্র গ্রহণ করতে মঞ্চে পৌঁছান। সেখানে তাঁদের হাতে তুলে দেওয়া হয় এই বিরাট সম্মান।

Advertisment

ক্যাপ্টেন সিং নিজের জীবনের পরোয়া না করে কীভাবে সিয়াচেনে প্রয়োজনীয় ওষুধ, সরঞ্জাম নিয়ে অন্যান্য সেনাদের বাঁচাতে নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়েছিলেন সেকথা উল্লেখ করা হয়। স্বামীর সাহসিকতার গল্প শুনে স্মৃতি সিং-এর চোখ জলে ভরে যায়। শ্রদ্ধা জানানোর পর রাষ্ট্রপতিও স্মৃতির কাঁধে হাত রেখে সান্ত্বনা দেন।

শহীদ ক্যাপ্টেন অংশুমানের বীরত্বের গল্প শুনে নিজের আবেগকে ধরে রাখতে পারেন নি স্ত্রী স্মৃতি। ধরা গলায় একটি ভিডিওতে স্মৃতিকে বলতে শোনা যায়, কলেজের প্রথম দিনে আমাদের দেখা হয়েছিল। আমরা প্রথম দেখাতেই প্রেমে পড়েছিলাম। সেখান থেকে মেডিকেল পড়তে চলে যান অংশুমান। এর পর দীর্ঘ আট বছর ধরে তাদের প্রেম চলে। ২০২৩ সালে বিয়ে হয় তাঁদের। বিয়ের চার মাসের মাথাতেই ঘটে যায় সিয়াচেনের মর্মান্তিক দুর্ঘটনা।

আরও পড়ুন : < Viral Video: আধার সেন্টারে ছবি তোলার জন্য ‘কিউট’ পোজ, হেসে খুন সকলে, দেখুন সেরা ভিডিও >

অপারেশন মেঘদূতের অধীনে তাকে সিয়াচেনে মেডিকেল অফিসার হিসেবে পোস্ট করা হয়েছিল। গত বছরের ১৯ জুলাই সিয়াচেনের ঘটে যাওয়া বিশাল অগ্নি দুর্ঘটনার সময়, অংশুমান সেখানে আটকে পড়া লোকেদের সরিয়ে নিতে সাহায্য করেছিলেন। এদিকে আগুন মেডিক্যাল ইনভেস্টিগেশন সেন্টারে ছড়িয়ে পড়ে। তা দেখেও প্রাণের তোয়াক্কা না করে তাতে ঝাঁপ দেন ক্যাপ্টেন অংশুমান। শহীদ ক্যাপ্টেন কেন্দ্রে প্রবেশ করেছিলেন যাতে তিনি জীবনদায়ী ওষুধ ও সরঞ্জাম বাঁচাতে পারেন। কিন্তু ১৭ হাজার ফুট উচ্চতায় প্রবল বাতাসের কারণে আশ্রয়কেন্দ্রটি আগুনে পুড়ে যায়। তাকে আগুন থেকে বাঁচানোর জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করা হয়েছিল, কিন্তু তাকে বাঁচানো যায়নি এবং তিনি সিয়াচেনে শহীদ হন।

Viral Video Trending News
Advertisment