New Update
/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2022/06/online-lottery.jpg)
প্রতীকী ছবি
জুয়ো'য় আসক্ত স্ত্রী, বিক্রি করে দিলেন স্বামীর ১০ লাখের সোনার চেন।
প্রতীকী ছবি
অনলাইন লটারিরে আসক্তি। সর্বস্ব হারিয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নিলেন চেন্নাইয়ের এক মহিলা। ২৯ বছরের ওই মহিলা অনলাইন জুয়ো খেলতে গিয়ে সোনার গয়না সহ হারান বোনের তিন লক্ষ টাকা। এরপরই তিনি আত্মহত্যা করেন দাবি পুলিশের। মহিলার নাম ভবানী, পুধু নগরের বাসিন্দা। তার স্বামী বাক্কিয়ারাজ, একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজ করেন। তাদের দুটি ছেলে রয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর ভবানী তার স্বামীকে বলেন তিনি স্নান করতে যাচ্ছেন। অনেকক্ষণ সাড়াশব্দ না পেয়ে স্বামী ডাকাডাকি করেন কিন্তু তাতেও কোন সাড়া নে পায়ে দরজা ভেঙ্গে উদ্ধার করা হয় মহিলার ঝুলন্ত দেহ। মৃতার স্বামী জানান, অনলাইন জুয়ো’য় আসক্ত ছিলেন স্ত্রী। জুয়ো খেলার জন্য তিনি তার স্বামীর ১০ লক্ষ মূল্যের একটি সোনার চেন বিক্রিও করেন এবং দুই বোনের থেকে মোট তিনলক্ষ টাকা ধার নেন। এই ঘটনার দিন চারেক আগেই ভবানী তার ছোট বোন কবিতার কাছে শিকার করেছিল সে আর কখনও জুয়ো খেলবেন না।
சென்னையில் இன்று ஆன்லைன் ரம்மி விளையாட்டால் ஒரு இளம்பெண் தூக்கிட்டு தற்கொலை செய்துள்ள நிலையில்,தமிழகம் முழுவதும் அனைத்து பத்திரிகையிலும் இன்று முழு முதற்பக்க ஆன்லைன் ரம்மி விளம்பரம் வருகிறது.
காவல்துறை டிஜிபி-யே
ஆன்லைன் ரம்மி அல்ல அது ஆன்லைன் மோசடி,
உங்கள் உயிரைக் கொல்லலாம்,1/2 pic.twitter.com/5TM8fdKCOu— Edappadi K Palaniswami (@EPSTamilNadu) June 6, 2022
বিরোধীদলনেতা ইদাপাদি কে পালানিসামি (ইপিএস) অনলাইন জুয়া নিষিদ্ধ করার জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না নেওয়ার জন্য সরকারের নিন্দা করে বলেন, “অনলাইন জুয়ো চালিয়ে যাওয়ার জন্য সরকার মদত দিচ্ছে। সংবাদ পত্রে পুরো পাতা জুড়ে এই ধরণের ভয়ঙ্কর জুয়ো খেলার জন্য বিজ্ঞাপন দেওয়া হচ্ছে। অথচ সরকার কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না"। এই ধরণের জুয়ো খেলা বন্ধ না হলে আরও অনেক প্রাণ বিসর্জন যাবে বলেও দাবি করেন কে পালানিসামি।
আরও পড়ুন: হুইল চেয়ারেই যুদ্ধ জয়! কার্তিকের জীবন কাহিনী চমকে ওঠার মতোই
এদিকে অনলাইন জুয়ো’র বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সামিল হয়েছে পিএমকে সভাপতি তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আম্বুমণি রামাদোস। তিনি বলেন, ‘রাজ্য সরকার অনলাইন জুয়া প্রতিরোধে কোনও পদক্ষেপ নেয়নি এবং তিনি যোগ করেছেন যে সরকারের এই পদক্ষেপ দরিদ্র এবং মধ্যবিত্তকে আরও প্রভাবিত করবে।
অনলাইন জুয়ার তথ্য উল্লেখ করে, আনবুমনি বলেছেন যে জুয়ার ওয়েবসাইটগুলি বর্তমান আর্থিক বছর থেকে ১৫,৪০০ কোটি টাকা আয় করবে বলে আশা করা হচ্ছে এবং ২০২৫ সালের মধ্যে এই সংখ্যা ৩৮,৫০০ কোটি টাকায় বৃদ্ধি পাবে। তিনি আরও বলেন অনলাইন জুয়ো গত ১০ মাসে ২২ টি তাজা প্রাণ ছিনিয়ে নিয়েছে।