ক্লাসরুমেই এবার কোবরার সঙ্গে সাক্ষাৎ। তাও আবার একটা নয়, একসঙ্গে দু-দুটো। জলপাইগুড়ির এক বিদ্যালয়ে জোড়া কোবরার সন্ধান মিলতেই আতঙ্কের চোরাস্রোত পড়শি এলাকায়।
জেলার সংশ্লিষ্ট দফতরের অধিকর্তারা সংবাদসংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছেন, জলপাইগুড়ির এক স্কুলের ক্লাসরুমে দুটো কোবরাকে পাওয়া গিয়েছে। রবিবারে ধুপগুড়ির সেই স্কুলের মাঠে খেলতে আসে স্থানীয় শিশুরা। তারাই প্রকান্ড জোড়া সাপ দেখে খবর দেয় এলাকায়।
অতিমারীর কারণে মার্চের ১৬ তারিখ থেকেই বিদ্যালয় বন্ধ রাখা হয়েছে। মাঝে কোয়ারেন্টাইন সেন্টারও করা হয়নি। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার কারণে স্কুলের পাশের বন থেকেই সাপগুলো যে আস্তানা গেড়েছে, তা মনে করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। সরকারিভাবে জানানো হয়েছে সাপগুলো ৩০টা ডিমও পেরেছে।
সূত্রে জানানো হয়েছে স্থানীয় বন সংরক্ষক ও পরিবেশবিদরা এসে সাপ দুটিকে উদ্ধার করে বনবিভাগের হাতে তুলে দিয়েছে।
পরে সরকারিভাবে জানানো হয়, কাছেই রেসকিউ সেন্টারে নিয়ে গিয়ে কিছুক্ষন রাখা হয় সাপগুলোকে। তারপরে ফের বনে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
বিশ্বের সবচেয়ে ভয়ংকর বিষধর সাপের জাতের নাম কিং কোবরা। যার একটি কামড়ে বিশাল আকৃতির হাতির মৃত্যু হতেও সময় লাগে না। সেই ভয়ংকর জাতের বিশালাকায় কিং কোবরা সাপ-ই কিনা স্কুলে! ভাগ্য ভালো থাকায় বড় ধরণের বিপদ থেকে রক্ষা পেয়েছেন স্থানীয়রা।
কোবরা সাপ প্রধানত নিচু জমিযুক্ত বনাঞ্চল এবং আর্দ্র প্রান্তরকে বাসস্থান হিসাবে পছন্দ করে। তবে এদের ভৌগোলিক সীমার অন্তর্গত বিভিন্ন প্রকার স্থানে এরা নিজেদেরকে অভিযোজিত করে নেয়। শুষ্কতর আবহাওয়াযুক্ত অঞ্চলেও এদের দেখা যায়। সন্তরণে অতি পারদর্শী এই কোবরা এবং সেই কারণেই এদের প্রায়ই আধা-জলচর হিসাবে গণ্য করা হয়। উত্তরবঙ্গের লোকালয়ে প্রায়ই এই কোবরার উপদ্রব ঘটে থাকে।