Advertisment

এমন পুলিশও আছে! পথশিশুর লক্ষ্য পূরণ করতে অঙ্ক ও ইংরেজি পড়াচ্ছেন উর্দিধারী

রাজ তার প্রথম ছাত্র নয়। পুলিশ বিনোদ দীক্ষিত indianexpress.com কে জানিয়েছন, এরকম অনেক পথশিশুকে সে লেখাপড়া শিখিয়েছে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

বয়স ১২। ভবিষ্যতে নিজেকে পুলিশের পোশাকে দেখতে চায় সে। তার জন্য প্রয়োজন অধ্যাবসায়। কিন্তু কোনোরকম সুবিধা নেই তার হাতের নাগালে। তাই এক পুলিশ অফিসারকেই মাস্টার মশাই করল সেই ছোট্ট খুদে। স্টেশন হাউস অফিসার বিনোদ দীক্ষিত কে এখন তার আদর্শ শিক্ষক। প্রতিদিন ওই ক্ষুদে বালক কে রাতের বেলায় লেখাপড়া করান ওই পুলিশ। যে খবর সোশ্যাল মিডিয়া প্রাঙ্গণে প্রবেশ করা মাত্রই অজস্র নাগরিকদের প্রশংসায় ভাইরাল গোটা ঘটনা।

Advertisment

লকদাউনের মধ্যরাতে "পেট্রল কার" নিয়ে এলাকায় টহল দিতে বেরিয়েছিলেন বিনোদ। তখন রাজুর সঙ্গে তার দেখা হয়।

বিনোদ দীক্ষিত জানিয়েছেন; " লকডাউন চলাকালীন আমি পুলিশ স্টেশনে কাছাকাছি অঞ্চলে বস্তি এলাকায় টহল দিচ্ছিলাম। তখনই ছোট্ট করে আমার কাছে এসে তার ইচ্ছার কথা জানায়। পড়াশোনা করতে চায় পুলিশ হতে চায়। কিন্তু টাকা নেই। টিউশন ফি জোগাড় করতে পারে না"।

রাজির বাবা একজন শ্রমিক। দাদু পথের ধারে সামান্য ছোট দোকানের বিক্রেতা। রাজির সমপ্রতি একটাই লক্ষ্য পুলিশ হতে চায়। ছোট্টু খুদে বিনোদ কে জানায়, পড়না পরিস্থিতিতে লকডাউন আমি দেখেছি পুলিশটা কিভাবে কাজ করছে যা দেখে আমি অনুপ্রাণিত। তাই আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি বড় হয়ে আমি পুলিশ হব। পুলিশ অফিসার বিনোদ দীক্ষিত এখন রাজের কাছে "চাচাজি"।

কিন্তু কোথায় বসে পড়াবেন? আলো হয়েছে এমন কোন জায়গা খুঁজতে হবে। অবশেষে এটিএম এর সামনে, বা পথের ধারে স্ট্রীট লাইটের নিচে পুলিশ ভ্যানের বনেটের উপর খাতা বই রেখে শুরু হয় রোজকার পড়াশোনা। কেটে গিয়েছে দুমাস। এ ভাবেই রাতের বেলা অংক ইংরেজি শিখছে রাজ।

প্রসঙ্গত, রাজ তার প্রথম ছাত্র নয়। পুলিশ বিনোদ দীক্ষিত indianexpress.com কে জানিয়েছন, এরকম অনেক পথশিশুকে সে লেখাপড়া শিখিয়েছে।

viral viral news
Advertisment