ভালোবাসা বাঁধা মানে না! সীমানা পেরিয়ে এমনই একটি মর্মস্পর্শী প্রেমের ঘটনা ভাইরাল। ভালবাসার টানে এ বার সাত সমুদ্র তেরো নদী পার করে ভারতে পা রাখলেন অস্ট্রেলিয়ার যুবক। মধ্যপ্রদেশের ধর জেলার মানওয়ারের এই ঘটনা তোলপাড় ফেলেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। হাজার হাজার মাইল দূরত্ব অতিক্রম করে নিজেদের ভালবাসাকে পরিণতি দিয়ে একে অপরের সঙ্গে বেঁচে থাকার প্রতিজ্ঞা করে বিবাব বন্ধনে আবদ্ধ হন। আর এই বিয়ের কাহিনী সোশ্যাল মিডিয়ায় রীতিমত ভাইরাল। প্রেমিক-প্রেমিকা জুটির ভালোবাসার গল্প শুনলে আপনার মনও খুশিতে ভরে উঠবে। ১৮ ডিসেম্বর রবিবার দুপুরে হয় বিয়ের অনুষ্ঠান।
মধ্যপ্রদেশের মানাওয়ারের বাসিন্দা তাবাসসুম হুসেন রবিবার অস্ট্রেলিয়ার অ্যাশ হন্সচাইল্ডকে বিয়ে করেছেন। ১৮ ডিসেম্বর রবিবার দুপুরে হয় বিয়ের অনুষ্ঠান। তাদের প্রেম-কাহিনী এখন ভাইরাল। স্কলারশিপ পেয়ে তাবাসসুম হোসেন পড়াশোনার জন্য ব্রিসবেনে যান। এ সময় আশ ও তাবাসসুম দুজনেই একই কলেজে পড়তেন। অ্যাশ ছিলেন তাবাসসুমের সিনিয়র।
পড়াশোনার সূত্রের আলাপ সেখান থেকে প্রেম। পরিবারের অন্য সদস্যরা যখন দুজনের সম্পর্কের কথা জানতে পারেন, তখন সবাই খুব খুশি হন। এরপর ২রা আগস্ট অস্ট্রেলিয়ায় দুজনেই কোর্ট ম্যারেজ করেন। বিয়ের পর অ্যাশ যখন ভারতে বেড়াতে আসেন, তখন এখানকার সংস্কৃতি ও আচার দেখে মুগ্ধ হন এবং ভারতীয় সংস্কৃতি অনুযায়ী বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেন।
মা জেনিফার প্যারিকে বিয়ের অনুষ্ঠানে মানাওয়ারে এসেছিলেন অ্যাশ। তাবাসসুমের বাবা-মা, তিন বোন ও দুই ভাইকে নিয়ে তার পরিবার। এর মধ্যে দুই বোন বিবাহিত। অ্যাশের পরিবারে রয়েছেন তার মা জেনিফার প্যারি। তাবাসসুম বলেন, অ্যাশ প্রেমের প্রস্তাব দিলে আমি তাকে না বলতে পারিনি। ২১ ডিসেম্বর অ্যাশকে নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার উদ্দেশে রওনা দেবেন তাবাসসুম।
ভারতে খাবারের স্বাদের তারিফ অ্যাশ। করেছেন। অ্যাশ অনেক দেশে ভ্রমণ করেছেন। এটি তার দ্বিতীয় ভারত সফর। তিনি বলেন ভারত সবচেয়ে প্রাণবন্ত, রঙিন এবং সবচেয়ে সুন্দর দেশ। মানওয়ার প্যাটেল কলোনির বাসিন্দা তাবাসসুমের বাবা সাদিক হুসেন বাসস্ট্যান্ডে একটি ছোট সাইকেল মেরামতের দোকান চালান। তাবাসসুম তার উচ্চ শিক্ষার জন্য ২০১৬ সালে রাজ্য সরকারের কাছ থেকে ৪৫ লাখ টাকার বৃত্তি পান। এক বছর পর ২০১৭ সালে তাবাসসুম অস্ট্রেলিয়ার ব্রিসবেনে পড়াশোনা করতে যান। বর্তমানে তাবাসসুম একটি সংস্থায় সিনিয়র ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত ।