পথ দুর্ঘটনায় ১১ বছরের ছেলেকে হারিয়েছেন মা-বাবা। সদ্য ছেলে মরা মায়ের মাথার ঠিক নেই। দুর্ঘটনায় সন্তানকে হারিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছিলেন। কিন্তু তাঁকেই ধমক দিয়ে চুপ করতে বললেন মহিলা আধিকারিক। চরম অসংবেদনশীল দৃশ্য দেখল রাজধানী দিল্লি। মৃত শিশুর মা-বাবাকেই মেজাজ দেখালেন প্রশাসনিক আধিকারিক। সেই ভিডিও ভাইরাল হতেই নিন্দায় মুখর হয়েছে নেটদুনিয়া।
প্রসঙ্গত. গত বুধবার অনুরাগ ভরদ্বাজ নামে এক শিশু স্কুল বাস থেকে মাথা বের করায় বৈদ্যুতিক পোলে আঘাত খায়। দুর্ঘটনায় শিশুটি মারা যায়। এর পর ক্ষুব্ধ মা-বাবা এবং পরিবার দিল্লির দয়াবতী পাবলিক স্কুলে গিয়ে কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগে সরব হন। স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে একটি খুনের মামলা দায়ের হয়েছে। বাসচালক এবং কন্ডাক্টরকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
মৃত শিশুর কাকিমা প্রীতি ভরদ্বাজ জানান, “আমরা জানতে পেরেছি নিওয়ারি থানার পুলিশ এসে স্কুলের প্রিন্সিপালকে নিয়ে যায়। আদৌ ঘটনার এলাকা ওই থানার আওতায় আসে না। আমরা যখন থানায় পৌঁছলাম, সেখানে কাউকে দেখলাম না। পরে জানতে পারলাম তাঁকে জেরা করে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এর পর আমরা রাস্তায় বসে অবস্থান বিক্ষোভ করি। কারণ অনুরাগ স্কুলের গাফিলতির কারণে মারা গিয়েছে। আমরা স্কুলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা চাই।”
মৃত শিশুর পরিজনরা হাপুর রোডে বসে প্রতিবাদ দেখালে মোদিনগরের মহকুমা শাসক-সহ অন্য আধিকারিকরা সেখানে আসেন। ভাইরাল ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, শিশুর মা নেহা শর্মা বার বার তিন জন দোষীকে গ্রেফতারের কথা বলছেন। সেই সময় মহিলা মহকুমা শাসক শুভাঙ্গী শুক্লাকে বলতে শোনা যায়, আধিকারিকরা কী বলছেন সেটা শুনতে। কিন্তু মা-ও নাছোড়, একই দাবি জানিয়ে যাচ্ছেন। তখনই রেগে গিয়ে মহকুমা শাসক বলেন, “চুপ করুন। বার বার এক কথা বলে যাচ্ছি, বুঝতেই চাইছেন না।”
প্রীতি ভরদ্বাজ বলেছেন, “যেভাবে একজন প্রশাসনিক আধিকারিক মৃত শিশুর মায়ের সঙ্গে কথা বলেছেন তা অত্যন্ত রূঢ়। কিন্তু এটা দেখা উচিত আমরা কোথা থেক কেন এসেছি। আমরা পরিবারের একজন সন্তানকে হারিয়েছি। আমাদের প্রতিবাদ জানিয়েছি। পরে আমরা পুলিশ-প্রশাসনের সঙ্গে দেখা করলে তারা লিখিত ভাবে জানিয়েছেন, ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” এই ঘটনায় অভিযুক্ত আধিকারিক কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি।