Advertisment

লকডাউনের মন্দায় চার দিনেই আয় ৬০০০! চমকে দিচ্ছেন সরোজ দিদি

শেষ চার দিনেই সরোজ দিদি ৬০০০ টাকা উপার্জন করেছেন। অন্য সময়ে এই অর্থ উপার্জন করতেই গোটা মাস লেগে যেত।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

অতিমারীর প্রাবল্য আর্থিক কষ্টে পড়েছিলেন মধ্যবয়সী মহিলা। রান্না-বান্না থেকে বাড়ির পরিচারিকা হওয়া, বা রাস্তার ধারে ফুল বিক্রি- পরিবারের একমাত্র রোজগেরে হওয়ায় অনেক কিছুই করতে বাধ্য হয়েছিলেন সরোজ দিদি। তবে এবারের মত সমস্যায় আগে পড়েননি।

Advertisment

সেই কষ্টও আপাতত লাঘব হওয়ার মুখে। অঙ্কিত ভেনগুলেরকর নামের এক সহৃদয় ব্যক্তির সহায়তায় বেঙ্গালুরুতে হোম ডেলিভারির ব্যবসা খুলে বসেছেন তিনি।

তিনি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানাচ্ছিলেন, "লকডাউনের পরে বেশ সমস্যায় পড়েছিলাম। তারপর, ভেনগুলেরকর আমাকে এমন আইডিয়া দেয়।" আপাতত দুজনে মিলেই ব্যবসা সামলে নিয়েছেন। রান্না বান্নার দায়িত্ব সামলান সরোজ দিদি। অন্যদিকে অর্ডার নেওয়া, জিনিসপত্র কিনে আনার কাজ করেন অঙ্কিত ভেনগুলেরকর।

ভেনগুলেরকর নিজে এক বেসরকারি ফার্মে কাজ করেন। সেই কাজের ফাঁকেই সাহায্য করেন মহিলাকে। তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় জানিয়েছিলেন নিজের উদ্যোগের কথা। তারপর থেকেই তুমুল প্রশংসিত হচ্ছেন তিনি।

আপাতত সরোজ দিদির কিচেনে দু-ধরণের মেন্যুই রান্না হয়- ম্যাংগোলোরিয়ান স্টাইল ক্র্যাব কারী এবং রেড্ডি'স চিকেন কারি। এখন শুধুমাত্র উইকএন্ডেই রান্না সরবরাহ করেন তিনি। ভেনগুলেরকর জানাচ্ছিলেন, শেষ চার দিনেই সরোজ দিদি ৬০০০ টাকা উপার্জন করেছেন। অন্য সময়ে এই অর্থ উপার্জন করতেই গোটা মাস লেগে যেত।

এর আগেও অবশ্য ফুড স্টল ছিল তাঁর। তিনি জানালেন, এর আগে স্বামীর সঙ্গে এমজি রোডে একটি ফুড স্টলে ইডলি, বড়া, ধোসার দোকান ছিল তাঁর। ভালোই চলছিল, তবে হঠাৎ স্বামী মারা যাওয়ায় আর সামলাতে পারছিলেন না এক হাতে। তাই দোকান বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।

রান্নায় ২০ বছরের অভিজ্ঞতা। আর সেই অভিজ্ঞতার ঝুলিই উপুর করে দিচ্ছেন এইচএসআর লেআউট এলাকায়।

Lockdown
Advertisment