New Update
/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2019/10/ilias.jpg)
গত বছর ত্রিধারায় ইলিয়াস
গত বছর যেমন 'ত্রিধারা'-র মণ্ডপে চতুর্থী থেকে নবমী লাগাতার ঘন্টার পর ঘন্টা বাঁশি বাজিয়ে নিজস্ব ভঙ্গিতে ভিড় সামলেছিলেন অবিশ্বাস্য প্রাণশক্তির ভাণ্ডার নিয়ে, এবারও ইলিয়াসের ডিউটি 'ত্রিধারা'-তেই।
গত বছর ত্রিধারায় ইলিয়াস
"যেন চারটে ফুসফুস নিয়ে ডিউটি করতে নেমেছিলেন। একটা টুলের উপর দাঁড়িয়ে বাঁশি বাজিয়েই চলেছেন ঘন্টার পর ঘন্টা অক্লান্ত। দর্শনার্থীদের ডাকছেন অভিনব কায়দায়, শরীর ছন্দময় ভঙ্গিতে বাঁকিয়ে, কখনও দু’হাত, কখনও এক হাত নেড়ে। দক্ষিণ কলকাতার ত্রিধারা-র পুজোমণ্ডপে ঠাকুর দেখার পাশাপাশি বিস্ময়ে-কৌতুকে টুলের উপর দাঁড়ানো কলকাতা পুলিশের ওই কনস্টেবলকেও দেখে চোখ ফেরাতে পারছিলেন না কেউ।"
ওপরের এই অনুচ্ছেদটি আমাদের গত বছরের পুজোর প্রতিবেদন থেকে ধার করা। সেসময় একটি ভাইরাল ভিডিও-ও পোস্ট করি আমরা, যাতে দেখা যায় ওই কনস্টেবলের অতুলনীয় ভিড় সামলানোর প্রক্রিয়া। জানা যায়, ইনি কনস্টেবল ইলিয়াস মিঞা, কলকাতা পুলিশের রিজার্ভ ফোর্সের কনস্টেবল।
গত বছর কলকাতার ত্রিধারা সম্মিলনীর পুজোয় তাঁর অভিনব 'ক্রাউড কন্ট্রোল'-এর প্রক্রিয়া রাতারাতি সেলিব্রিটি বানিয়ে দেয় কলকাতা পুলিশের কনস্টেবল ইলিয়াস মিঞাকে। ফের এবছর ত্রিধারাতেই ফিরলেন ইলিয়াস। এবং স্বমহিমায়! #DurgaPuja2019 #kolkatapolice #funnycop pic.twitter.com/RT6eAcP80a
— IE Bangla (@ieBangla) October 4, 2019
ফের একবার পুজো, ফের একবার ইলিয়াস। এবছরও সমান উৎসাহ এবং ফুর্তি নিয়ে ভিড় সামলাচ্ছেন ইলিয়াস মিঞা, সঙ্গী তাঁর সুতীব্র বাঁশি। গত বছর যেমন 'ত্রিধারা'-র মণ্ডপে চতুর্থী থেকে নবমী লাগাতার ঘন্টার পর ঘন্টা বাঁশি বাজিয়ে নিজস্ব ভঙ্গিতে ভিড় সামলেছিলেন অবিশ্বাস্য প্রাণশক্তির ভাণ্ডার নিয়ে, এবারও ইলিয়াসের ডিউটি 'ত্রিধারা'-তেই। এবং এবারেও স্বমহিমায়।
গত বছর কলকাতা পুলিশের বিজয়া সম্মিলনী অনুষ্ঠানে ইলিয়াসকে পুরস্কৃত করেন তৎকালীন নগরপাল রাজীব কুমার। ইলিয়াসের ভিড় সামলানোর ভিডিও উল্কাবেগে ছড়িয়ে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায়। রাতারাতি প্রায় সেলিব্রিটিতে পরিণত হন উত্তরবঙ্গের বুনিয়াদপুরের এই ভূমিপুত্র। একবার দেখে নিন সেই ভিডিওটিও। তফাৎ একটাই, গত বছর উর্দিতে ছিলেন ইলিয়াস, এবছর তিনি সিভিল ড্রেসে।
পুজোর দিনগুলোয় কলকাতা পুলিশের ভিড় নিয়ন্ত্রণ এবং যানবাহন সচল রাখার প্রচেষ্টার প্রশংসাই করে থাকেন শহরবাসী সচরাচর। কাজটা সোজা নয়, খুব আনন্দেরও নয়। কিন্তু এই তরুণ কনস্টেবল যেভাবে তাঁর কাজে আনন্দের আমদানি করছেন, তা নিঃসন্দেহে আনন্দ দেবে অনেককেই।