পায়েল কুমারী, ই-রিকশা চালকের মেয়ে, বিহার স্কুল পরীক্ষা বোর্ড (BSEB) পরীক্ষায় তৃতীয় স্থান অর্জন করে রীতিমত শোরগোল ফেলে দিয়েছে। ২১শে মার্চ ফলাফল ঘোষণা হতেই সামনে আসে পায়েলের সাফল্য। ৫০০-এর মধ্যে ৪৭২ অর্থাৎ ৯৪.৪% মার্কস পেয়ে সকলকে চমকে দিয়েছেন। ভবিষ্যতের লক্ষ্য আইএএস। এখন সেই লক্ষ্যেই এগিয়ে যেতে চায় পায়েল।
এক সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে পাইয়েল বলেন, “আমি বোর্ড পরীক্ষায় তৃতীয় স্থান অর্জন করতে পেরে বেজায় খুশি। লক্ষ্য অর্জনের জন্য কঠোর পরিশ্রম করতে হয়েছে। আমার রেজাল্ট দেখে আমি ও আমার পরিবারের সকলেই খুব খুশি। পায়েলের বাবা মুন্না পোদ্দার একজন ই-রিকশা চালক, আর তার মা রিনা দেবী একজন গৃহবধূ। ছোট ভাই সত্যম কুমার এই বছর দশম শ্রেণির পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন।ইচ্ছে ছিল বিজ্ঞান শাখায় পড়ার। কিন্তু আর্থিক অনটনের কারণে বাণিজ্য শাখায় পড়াশুনা। পায়েলের কথায়, 'আমার একমাত্র লক্ষ্য আইএএস হওয়া। আইএএস অফিসার সৃষ্টি জয়ন্ত দেশমুখ আমার অনুপ্রেরণা,”।
মেয়ের সাফল্যে বেজায় খুশি বাবা। পরিবারের একমাত্র রোজগেরে হওয়াতেও মেয়ের পড়াশুনায় কোন খামতি রাখেননি। পায়েল বলেন, “আমার বাবা-মা কোনদিন আমাকে অভাব বুঝতে দেয়নি। পরিবারের ভরণপোষণের জন্য বাবা সকাল থেকে রাত হাড়ভাঙা পরিশ্রম করেন। আমার বাবা-মা সবসময় আমাকে এবং আমার ভাইকে আমাদের পড়াশোনায় উৎসাহ জুগিয়ে গেছেন'। জীবনের সফল হওয়ার লক্ষ্য প্রসঙ্গে পায়েল বলেন, সকলের একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্য থাকা উচিৎ। তা অর্জনের জন্য নিজের কাজ করে যাওয়ার মাধ্যমে সাফল্য আসতে বাধ্য'।