২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনে 'মহাগটবন্ধন' কে বাস্তব রূপ দিতে আঞ্চলিক প্রার্থীদের এক সুতোয় বাঁধতে চলেছে কংগ্রেস। একটি হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটে সমস্ত বিরোধী দল বিজেপির বিরুদ্ধে জোট বেঁধেছে। যার উদ্দেশ্য, সংখ্যগরিষ্ঠতার লড়াইয়ে বিজেপিকে পরাজিত করা। তবে নরেন্দ্র মোদী বলেছেন, এটি 'মহাগটবন্ধন' নয়, বরং 'মহামিলাবট'।
Advertisment
বর্তমানে এই 'গ্রুপ চ্যাট'-এর ভিডিও নেটিজেনদের হাতে ভাইরাল। যেখানে রয়েছেন রাহুল গান্ধী, মায়াবতী, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ আরও অনেকে। রাহুল গান্ধী এই চ্যাট গ্রুপে একের পর এক রাজনীতির মহারথীদের যোগ করতে থাকেন। শুরু থেকেই আসন সংক্রান্ত আলোচনার সঙ্গে রয়েছে জোট বেঁধে বিজেপির বিরোধীতা করা এবং দিল্লিতে নতুন সরকার গঠন করার কথাও। পাশাপাশি চলে আলোচনা, প্রধানমন্ত্রী কে হবেন তা নিয়ে।
জোটের এজেন্ডা নিয়ে কথোপকথন শুরু করেন গ্রুপের নেতারা। যেখানে হঠাৎই মমতা তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে. চন্দ্রশেখর রাও, ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়ক, তামিল নাড়ুর প্রাক্তন ও বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী পান্নিরসেলভাম এবং পালানিস্বামী-কে 'অ্যাড' করেন সেই 'গ্রুপ চ্যাটে'। কিন্তু সঙ্গে সঙ্গে সেই 'গ্রুপ' ছেড়ে বেরিয়ে যান তাঁরা। এবং রাহুল গান্ধী মমতাকে অনুরোধ করেন, "আমায় জিজ্ঞাসা না করে কাউকে যোগ করবেন না।" তড়াং করে রেগে যান মমতা। জবাবে প্রশ্ন করেন, "কে আপনি? কেন আপনার কথা আমি মেনে চলব?"
প্রধানমন্ত্রীর মনোনয়ন বিষয়ে সমাজবাদী দলের প্রতিষ্ঠাতা মুলায়ম সিং যাদবকে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের 'অ্যাডমিন' করেন মমতা বন্দোপাধ্যায়। এরপর মুলায়ম তাঁর ভাই শিবলপাল যাদবকে গ্রুপে 'অ্যাড' করেন। তারপরই চ্যাট বক্সে শুরু হয় বিশৃঙ্খলা। অবশেষে, হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপটিকে ছিনিয়ে নেন মুলায়ম সিং যাদব। তারপর তিনি সেখানে অমিত শাহকে অ্যাড করেন এবং বদলে ফেলা হয় নাম, বিজেপি ৪০০+
বলাই বাহুল্য, এই গ্রুপ চ্যাট আদতে আসল নয়। পুরোটাই ভুয়ো। 'দ্য ফ্রাসট্রেটেড ইন্ডিয়ান' (টিএফআই) নামক একটি ফেসবুক পেজে আপলোড করা হয় এই নকল হোয়াটসঅ্যাপ কথোপকথন। ফেসবুকের পেজটি ২০১২ সালে অনিল কুমার মিশ্র তৈরি করেন। পেজে একটি বিবৃতিতে বলা আছে, "দেশে শক্তিশালী দক্ষিণপন্থী মতদর্শন তৈরি চেষ্টায়, রক্ষনশীল মানসিকতা এবং সামাজিক বিধিনিষেধে বদল আনতেই এই পেজ।"