নিলামে আইনস্টাইনের 'লেখা' বিখ্যাত সমীকরণ! দর উঠল কয়েকশো কোটি ডলার

বস্টনের নিলাম সংস্থা ববি লিভিংস্টনের সহ সভাপতির কথায় এটি হলোগ্রাফিক এবং পদার্থবিজ্ঞানের দিক থেকে একটি গুরুত্বপূর্ণ চিঠি।

বস্টনের নিলাম সংস্থা ববি লিভিংস্টনের সহ সভাপতির কথায় এটি হলোগ্রাফিক এবং পদার্থবিজ্ঞানের দিক থেকে একটি গুরুত্বপূর্ণ চিঠি।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

অ্যালবার্ট আইনস্টাইনের সেই বিখ্যাত সমীকরণ, যা থেকেই রকেট সায়েন্সের মূল কাঠামো তৈরি। পদার্থবিদ্যার দিগন্ত খুলে দেওয়া সেই সমীকরণ তাও আবার বিশ্ব বিখ্যাত বৈজ্ঞানিকের নিজের হাতে লেখাটি বিক্রি হল কয়েকশো কোটি ডলারে। শুক্রবার বস্টনের এক নিলাম সংস্থা এটি প্রত্যাশার থেকেও বেশি দামে বিক্রি করেছেন, এমনটাই খবর।

Advertisment

ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি এবং জেরুজালেমের হিব্রু বিশ্ববিদ্যালয়টির আইনস্টাইন পেপারস প্রকল্পের আর্কাইভবিদরা বলেছেন যে আইনস্টাইনের নিজের হাতে লেখা একটি চিঠিতে E=mc2 সমীকরণটি ব্যবহার হয়েছে। এরকম আরও তিনটি চিঠি রয়েছে যেখানে এই বিখ্যাত সমীকরণটির উল্লেখ করেছেন বিজ্ঞানী নিজেই।

আগের তিনটি চিঠির খোঁজ মিললেও এই চতুর্থ চিঠির সন্ধান তাঁরা পেয়েছেন নিলামের বাজারে। বস্টনের নিলাম সংস্থা ববি লিভিংস্টনের সহ সভাপতির কথায় এটি হলোগ্রাফিক এবং পদার্থবিজ্ঞানের দিক থেকে একটি গুরুত্বপূর্ণ চিঠি। আর এই সমীকরণের মূল্য যে দুর্মূল্য তা গোটা বিশ্বই জানে।

পোলিশ আমেরিকান পদার্থবিজ্ঞানী লুডভিক সিলবারস্টাইনকে জার্মান ভাষায় চিঠিটি লেখেন আইনস্টাইন। সিলবারস্টাইন আইনস্টাইনের কিছু তত্ত্বের একজন সুপরিচিত সমালোচক এবং চ্যালেঞ্জার ছিলেন।

Advertisment

এই সমীকরণে আইনস্টাইন বলেছেন, "“কোন বস্তুযদি আলোর বেগে চলে তাহলে তা সম্পূর্ণ শক্তিতে পরিণত হবে এবং এই শক্তির পরিমান হবে E=mc2 যেখানে E হল শক্তি m ভর c আলোর বেগ"। থিওরি অফ রিলেটিভিটিতে এই সমীকরণের উল্লেখ করে বিজ্ঞানী। যদিও সিলবারস্টাইনের মতে এই সমীকরণে বস্তুর ভর অসীম হয়ে যাবে যা বাস্তবসম্মত নয়। এই যুক্তিরই পাল্টা যুক্তি চিঠিতে দিয়েছিলেন আইনস্টাইন, এমনটাই জানায় নিলাম সংস্থা।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

science