মিডিয়া রিপোর্ট অনুসারে পড়ে যাওয়ার আগে ট্রেগুন্টার টাওয়ার কমপ্লেক্সে উঠেছিলেন তিনি। একবারে উপরের তলার পেন্টহাউসের বাইরে আটড়ে পড়েন বলেই অনুমান, কারণ সেখান থেকে তিনি পাগলের মতো একটি জানালায় ধাক্কা মারছিলেন, আওয়াজ শুনে চমকে উঠেছিলেন ঘরের ভিতরে থাকা এক মহিলা। এরপর লুসিডি নিজের উপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নিচে পড়ে যান । মৃত্যু হয় তার। উদ্ধার করা হয়েছে তার ক্যামেরা। সেখানে মিলেছে স্টান্টের নানান ভয়ঙ্কর মুহুর্তের ভিডিও। যা দেখে মাথা ঘুরে যেতে বাধ্য।
Advertisment
পৃথিবীতে এমন অনেক মানুষ আছে যারা একাধিক বিপজ্জনক স্টান্ট করে থাকেন। যা দেখে মানুষের হুঁশ উড়ে যায়। দর্শকেরা ভয়ে কেঁপে উঠলেওঅনেক উচ্চতায় যাওয়ার পরও তাদের হৃদস্পন্দন বাড়ে না। বছর ৩০-এর হাই রাইজ স্টান্ট ম্যান রেমি লুসিডির সঙ্গে যা ঘটেছে তা শুনলে বুক কেঁপে উঠবে।
হংকং পুলিশের মতে, রেমি রবিবার সন্ধ্যা ৬টা নাগান ওই বহুতলে প্রবেশ করেন। তিনি নিরাপত্তারক্ষীকে জানান যে তিনি ৪০ তলায় এক বন্ধুর সাথে দেখা করতে এসেছেন। সিসিটিভি ফুটেজে লুসিডি ট্রেগুন্টারকে টাওয়ার কমপ্লেক্সের শীর্ষে একটি সিঁড়ি বেয়ে উঠতে দেখা যায়। ঘটনাস্থলে থাকা লোকজন জানান, তারা ভবনের ছাদে যাওয়ার জানালা খোলা দেখতে পেলেও সেখানে কেউ ছিল না। খবরে বলা হয়েছে, লুসিডিকে শেষবার সন্ধ্যা ৭.৩০ মিনিটে পেন্টহাউসের জানালায় ধাক্কা মারতে দেখা যায়। এরপর গৃহকর্মী পুলিশকে খবর দেন। তদন্তের সময় সেখান থেকে লুসিডির একটি ক্যামেরা পায় পুলিশ। সেখানে থাকা স্টান্টের ভিডিও হুঁশ উড়িয়ে দিয়েছে সকলের।