New Update
/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2023/10/cats-51.jpg)
রাম বাবু।
জীবনের প্রতিকূল পরিস্থিতি একজন মানুষের কাছে যেন এক অগ্নিপরীক্ষা।
রাম বাবু।
শ্রমিক হিসাবে কাজ করেছেন, পেটের তাগিদে ওয়েটারের কাজও করেছেন। আজ এশিয়ান গেমসে পদক জিতে দেশকে এনে দিয়েছেন বিরাট সম্মান।
জীবনের প্রতিকূল পরিস্থিতি একজন মানুষের কাছে যেন এক অগ্নিপরীক্ষা। যারা এই পরীক্ষায় সফল হতে পারেন না তারা একই রকম পরিস্থিতিতে আটকে থাকেন। কিন্তু যারা, সেই পরিস্থিতি মোকাবেলা করে লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যান তারা সফল হয়ে ইতিহাস তৈরি করেন।
কোভিড অতিমারী চলাকালীন সারা দেশ যে ছেলেটিকে MNREGA-এর অধীনে শ্রমিক হিসাবে কাজ করতে দেখেছিল সে একই ছেলেকে দেশের হয়ে ইতিহাস তৈরি করতে দেখেছে কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী।
সেই ছেলেটির নাম রাম বাবু। পরিস্থিতির কারণে দিন মজুর হিসাবে কাজ করতে বাধ্য হলেও লক্ষ্যে তিনি ছিলেন অবিচল। আর ঠিক এই কারণেই রাম বাবু, মঞ্জু রানীর সঙ্গে জুটি বেঁধে বুধবার ১৯ তম এশিয়ান গেমসে দেশের হয়ে পদক জেতেন। মঞ্জু এবং রামবাবুর জুটি ৩৫ কিলোমিটার রেস ওয়াক মিশ্র দল ইভেন্টে ব্রোঞ্জ পদক জিতে ভারতের পদক সংখ্যা ৭০ এ নিয়ে গেছেন ।
২০২০ সালের কোভিড লকডাউনের সময় রামবাবু গভীর সংকটের মুখোমুখি হন। সংসারের তাগিদে ও বেঁচে থাকার লড়াইয়ে তাকে দিনমজুরের কাজ বেছে নিতে হয়। সে সময় তার একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছিল। লকডাউনের কঠিন পরিস্থিতিতে তিনি দেড় মাস দিন মজুরের কাজ করেন। মজুরের কাজ করার আগে তিনি ওয়েটারের কাজ করতেন। এ ছাড়া একটি কুরিয়ার প্যাকেজিং কোম্পানিতে বস্তা সেলাইয়ের কাজও করতে হয়েছে প্রায় ৪ মাস।
During the COVID-19 lockdown 24-year old Ram Baboo dug ditches under MNREGA. Previously he'd worked as a waiter. But he never lost sight of his goal - to be an athlete. Today he won Asian Games🥉 in the 35km race walk mixed team that allowed 🇮🇳 to equal it's best ever Asiad tally pic.twitter.com/FCkWbOLzdj
— jonathan selvaraj (@jon_selvaraj) October 4, 2023
Congratulations to Ram Baboo and Manju Rani for bringing glory to India with their Bronze Medal in the 35km Race Walk Mixed Team event. This would not be possible without the tremendous endurance and determination shown by these amazing athletes. pic.twitter.com/IYiZ4Ectnz
— Narendra Modi (@narendramodi) October 4, 2023
মিডিয়ার সাথে কথা বলার সময় রামবাবু বলেছিলেন যে, তিনি ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর থেকে প্রশিক্ষণ নিচ্ছিলেন কিন্তু ২০২০ সালে কোভিডের কারণে তাকে গ্রামে ফিরে আসতে হয়েছিল। তার বাবা শ্রমিকের কাজ করে কোন ভাবে তার ও বোনের লেখাপড়ার খরচ চালিয়েছেন। রামবাবুর জানিয়েছে, দারিদ্রের কারণে মাঝে মধ্যে না খেয়ে থেকেছেন তিনি। তার কঠোর পরিশ্রমের কারণে আজ সারা দেশ তাকে অভিবাদন জানাচ্ছে।