নেপাল থেকে বাংলায় ঘড়িয়াল! ১১০০ কিমি পেরিয়ে হিট এই 'পরিযায়ী'

প্রাণীটির নেপাল থেকে পশ্চিমবঙ্গে আসতে মোট ৬১ দিন লেগেছে। উদ্ধারের পরেই অবশ্য প্রাণীটিকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

প্রাণীটির নেপাল থেকে পশ্চিমবঙ্গে আসতে মোট ৬১ দিন লেগেছে। উদ্ধারের পরেই অবশ্য প্রাণীটিকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

লকডাউনে যাতায়াতের ব্যবস্থা নেই। তাই ভিনরাজ্য কর্মরত পরিযায়ী শ্রমিকরা নিজের রাজ্যে ফিরতে ভরসা রেখেছেন পায়েই। পরিযায়ী শ্রমিকদের এমন দুর্দশা নিয়ে এখনও লেখালেখি চলছে।

Advertisment

তবে পরিযায়ী কিনা জানা নেই স্রেফ পায়ে (?) হেঁটেই নেপাল থেকে ১১০০কিমি পাড়ি দিয়ে পশ্চিমবঙ্গে পৌঁছাল একটি ঘড়িয়াল। আপাতত, ঘড়িয়ালটিকে উদ্ধার করা হয়েছে।

বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতির প্রাণী এই ঘড়িয়াল। বর্তমানে এমন ঘড়িয়ালের সংখ্যা মাত্র ৬৫০টি। হুগলির রানি নগর ঘাটে মাছ ধরার জালে ওঠে এই ঘড়িয়ালটি। জানা গিয়েছে, গণ্ডক/নারায়ণী নদী যে রাপতি নদীতে মিশেছে সেখানে এই ঘড়িয়ালগুলি ছাড়া হয়েছিল। সেখান থেকেই এই ঘড়িয়ালটির আপাতত ঠিকানা ১১০০ কিমি দূরে পশ্চিম বাংলা।

Advertisment

ওয়াইল্ড ট্রাস্ট অফ ইন্ডিয়া-র তথ্য অনুযায়ী, এই ঘড়িয়ালটি যে নেপাল থেকে এসেছে, তার হদিশ পাওয়া গিয়েছে, চামড়ায় বিশেষ মার্কিংয়ের জন্য।

ডব্লিউইটিআই ওয়েবসাইটে জানানো হয়েছে, প্রাণী বিজ্ঞানী সুব্রত বেহরা যোগাযোগ করেন নেপালের পদস্থ আধিকারিকের সঙ্গে। তারাই এই ঘড়িয়ালটির পরিচিতি কনফার্ম করেছেন। সুব্রত বাবু নিজেও গণ্ডক নদীতে ঘড়িয়াল পুনর্বাসন কর্মকান্ডের সঙ্গে জড়িত।

নেপালের চিতওয়ান ন্যাশনাল পার্কে ঘড়িয়াল সংরক্ষণ প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত বেদ বাহাদুর খারকা নিজে ঘড়িয়ালটির লেজে স্কাউট মার্কিং দেখে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

সেই ওয়েবসাইটে জানানো হয়েছে, "যে পথে সরীসৃপটি পশ্চিমবঙ্গে এসেছে তা হল, রাপতি নারায়ণী/গণ্ডক-গঙ্গা-ফারাক্কা-হুগলি নদী।" পাশাপাশি বলা হয়েছে, প্রাণীটির নেপাল থেকে পশ্চিমবঙ্গে আসতে মোট ৬১ দিন লেগেছে। উদ্ধারের পরেই অবশ্য প্রাণীটিকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

এই সরীসৃপ প্রাণীর ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার পরই কুমির বিশেষজ্ঞ এবং ডব্লিউটিআইয়ের একজন ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য জানিয়েছেন, গরম অথবা বর্ষার তুলনায় ঘড়িয়ালটিকে শীতকালে ছাড়া উচিত ছিল। কারণ এতে পরিবেশের সঙ্গে আরও ভালোভাবে নিজেকে মানিয়ে নেওয়ার সুবিধা পেত প্রাণীটি।

wildlife