বলা হয়, মানুষ ভালোবেসে সীমান্তের বেড়াজালকেও অতিক্রম করে। তেমনই এক ঘটনা সামনে এসেছে সোশ্যাল মিডিয়ার সৌজন্যে। বিজয়নগরের এক যুবকের প্রেমে পড়েন বেলজিয়ামের এক তরুণী। প্রায় সাড়ে সাত হাজার কিলোমিটার পথ পেরিয়ে প্রেমের টানে ছুটে আসেন ভারতে। কর্ণাটকের বিখ্যাত হাম্পি মন্দিরে বিয়ে করেন এই দম্পতি। ভারতীয় রীতি মেনে বিয়ে করেছেন এই দম্পতি। খবরে বলা হয়েছে, ওই তরুণীর নাম ক্যামিল এবং যুবকের নাম অনন্তরাজু।
প্রায় চার বছর ধরে দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক চলছিল। রাজু হাম্পিতে অটো চালক ও গাইড হিসেবে কাজ করেন। বেলজিয়ামের ক্যামিল একজন সমাজকর্মী। দুজনের দেখা হয়েছিল হাম্পিতেই। কোভিড কালের কিছুদিন আগেই।
প্রায় চার বছর আগে ক্যামিল তার পরিবারের সঙ্গে হাম্পিতে বেড়াতে আসেন। এই সময় অনন্তরাজু তাকে সাহায্য করেন। ক্যামিলের পরিবার অনন্তরাজুর সততায় মুগ্ধ হন। ক্যামিলিও অনন্তরাজুর প্রেমে পড়ে যায়। তিন বছর আগে ক্যামিল ও অনন্তরাজুর বিয়ে হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু করোনার কারণে তা সম্ভব হয়নি।
অনন্তরাজু ও তার পরিবার চেয়েছিল দুজনেই ভারতে এসে বিয়ে করুক। এরপর কেমিলের পরিবারও এতে রাজি হয়। হাম্পি মন্দিরে ধুমধাম করে বিয়ে করেন দম্পতি। কোভিড মহামারীর ঠিক আগে দুজনেই হাম্পিতে দেখা করেছিলেন। যখন ক্যামিল তার পরিবারের সঙ্গে হাম্পি বেড়াতে এসেছিলেন।
আরও পড়ুন: < ইনস্টা রিলস আর YT শর্টস বন্ধ করে দিতে চান উন্মেষ! কিন্তু কেন? সোশ্যাল দুনিয়া নিয়ে ভাবাতুর ইউটিউবের ‘যদুবাবু’ >
অনন্ত রাজু তাকে শুধু শহর ঘুরিয়ে দেখান এবং শহরের ইতিহাস সম্পর্কিত তথ্য দেওয়ার পাশাপাশি, ভাল হোটেলে থাকার ব্যবস্থাও করে দেন। ক্যামিল তার পরিবারের সঙ্গে এর কিছুদিন পর বেলজিয়ামে ফিরে আসেন, তবে দুজনেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন।
ধীরে ধীরে বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে দুজনের মধ্যে। তারা দুজনেই তাদের পরিবারের কাছে বিয়ের ইচ্ছা প্রকাশ করেন, যা উভয় পরিবারই মেনে নেয়। বৃহস্পতিবার থেকে বিয়ের সব আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। শুক্রবার তা সম্পন্ন হয়। ভালবাসার মানুষকে পেয়ে দুজনেই খুশি।