Advertisment

রাজনৈতিক নেতাদের নকল করে গ্রেপ্তার ট্রেনের হকার

বেশ কিছুদিন ধরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরছে একটি মিনিট ছয়েকের ভিডিও, যেখানে ট্রেনে এক খেলনা বিক্রেতা অবিকল রাজনৈতিক নেতাদের গলা অনুকরণ করে খেলনা বিক্রি করছেন যাত্রীদের।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
গ্রেপ্তার হলেন অভধীশ দুবে

গ্রেপ্তার হলেন অভধীশ দুবে

গুজরাটের সুরাট স্টেশন প্ল্যাটফর্মে ট্রেনে খেলনা বিক্রি করা এক হকারকে গ্রেফতার করল রেলওয়ে প্রোটেকশন ফোর্স (আরপিএফ)। সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, ওই খেলনা বিক্রেতা ট্রেনের যাত্রীদের কাছে খেলনা বিক্রি করছেন দেশের নেতাদের কথা বলার ধরন নকল করে, যে তালিকায় আছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী থেকে শুরু করে অনেকেই। তারই ফলস্বরূপ খেলনা বিক্রেতা অবধেশ দুবেকে চিহ্নিত করে আরপিএফ রেলের বিভিন্ন আইনের আওতায় তার নামে এফআইআর দায়ের করেছে। সেখানে বলা হয়েছে, সেকশন ৪৪ অনুযায়ী রেলে "ভিক্ষা করা এবং ফেরি করার নিষেধাজ্ঞা না মানায়", ১৪৫বি ধারা অনুযায়ী ট্রেনের মধ্যে "অসম্মানজনক এবং অসুবিধা সৃষ্টিকারী ভাষা ব্যবহার করায়" এবং ১৪৭ ধারা অনুযায়ী "ট্রেনে বেআইনিভাবে প্রবেশ করার" অভিযোগে তাঁকে গ্রেপ্তার করে সুরাট রেল পুলিশ।

Advertisment

আরও পড়ুন ১৮ বছর পর আইটিউনসকে বিদায় জানাল অ্যাপল

উল্লেখ্য, বেশ কিছুদিন ধরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘোরাফেরা করছে একটি মিনিট ছয়েকের ভিডিও। যেখানে দেখা যাচ্ছে, ট্রেনে একজন খেলনা বিক্রেতা প্যারোডি করে করে অবিকল রাজনৈতিক নেতাদের গলা অনুকরণ করে খেলনা বিক্রি করছেন যাত্রীদের। সেই তালিকায় আছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধী, কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল সমেত আরও অনেকে।

আরপিএফের এক সূত্র মারফত জানা যায়, অভিযুক্ত অবধেশের আদি বাড়ি বারাণসীতে। বছর দুয়েক আগে তিনি ভালসাদে চলে আসেন এবং ভাপি থেকে সুরাট লাইনের ট্রেনে খেলনা বিক্রি করেন। আরপিএফের ইনস্পেক্টর (সুরাট) ঈশ্বর সিং যাদব বলেন, "বেআইনিভাবে ট্রেনের কামরায় খেলনা বিক্রি করায় আমরা অবধেশ দুবেকে অভিযুক্ত করছি।" তিনি আরও বলেন, "সোশ্যাল মিডিয়াতে অবধেশের যে ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সেটি আমাদের হাতেও এসেছে। সেখানে বিভিন্ন রকম মন্তব্যও করেছেন তিনি। তবে যেভাবে তিনি ক্রেতাদের সঙ্গে কথোপকথন করেছে তা বেশ আকর্ষণীয়।" শুক্রবার অবধেশকে রেল আদালতে হাজির করানো হয় এবং ১০ দিনের জন্য বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হয়।

Read the full story in English

viral
Advertisment