New Update
/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2020/05/1-LEAD-32.jpg)
পুলিশ প্রথমে সেই টিনএজারকে সশস্ত্র ভেবেছিল। এবং জানতও না যে বালক বধির এবং সেরিব্রাল পালসিতে আক্রান্ত।
প্রতিবন্ধী। হুইলচেয়ারেই জীবনের অধিকাংশ সময় কাটিয়ে ফেলেছে। সেই প্রতিবন্ধী বালকই এবার জুয়েলারি দোকানে ডাকাতির প্রচেষ্টার অভিযোগে গ্রেফতার হল। ব্রাজিলের এক জুয়েলারির দোকানে ডাকাতি করতে গিয়ে ধরা পড়ল সে।
স্থানীয় প্রতিবেদন অনুযায়ী, ক্যানেলার কাছে একটি দোকানে ঘটনা ঘটে। সেরিব্রাল পলসিতে আক্রান্ত ১৯ বছরের এক বালককে বন্দুক হাতে ডাকাতি করতে দেখে একজন পথচারী থানায় খবর দেন।
দেখুন ভিডিও:
জানা গিয়েছে, দোকানে অনেকক্ষন অপেক্ষা করছিল সেই বালক। সমস্ত গ্রাহক ফিরে যাওয়ার পর একজন দোকানের এক কর্মীকে নিজের পা দিয়ে পর্তুগিজ ভাষায় লেখা একটি চিরকুট তুলে দেয় সে। সেই চিরকুটেই লেখা ছিল কোনোরকম এলার্ম না দিয়ে দোকানের সমস্ত কিছু যেন তাঁকে দিয়ে দেওয়া হয়।
প্রথমে কর্মীরা মজা ভেবেই বিষয়টি উড়িয়ে দিচ্ছিলেন তবে তার পায়ে বন্দুকের এক রেপ্লিকা তাদের দিকেই তাক করা ছিল।
জি১ সংবাদপত্র অনুযায়ী, সেই দোকানের মালিক ভেবেছিলেন, এই টিনএজার হয়তো অর্থ সংগ্রহ করছে কারণ দোকানেরই এক কর্মী আগে সেই বালককে টাকা দিতে দেখেছিলেন।
তবে রুদ্ধশ্বাস পরিস্থিতিতে বেশিক্ষন অপেক্ষা করতে হয়নি। পথচারী ঘটনা পুলিশ কে জানিয়ে দেওয়ার কিছুক্ষন পরেই হাজির তারা। দ্রুত তারাই পরিস্থিতি সামাল দেন।
ব্রাজিলের সংবাদমাধ্যম জার্নাল দে গ্রামাডো জানায়, পুলিশ প্রথমে সেই টিনএজারকে সশস্ত্র ভেবেছিল। এবং জানতও না যে বালক বধির এবং সেরিব্রাল পালসিতে আক্রান্ত। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, তারা যখন ঘটনাস্থলে পৌঁছায়, তখন সেই বালক ইতিমধ্যেই মেঝেতে পড়ে গিয়েছে।
তারপরেই তাকে নিয়ে যাওয়া হয় সিভিল পুলিশ স্টেশনে। সেখানে সে জানায় পরিবারের এক সদস্যকে সাহায্য করার জন্যই এমন পথ বেছে নিতে বাধ্য হয় সে। অতীতে কোনো ক্রিমিনাল রেকর্ড না থাকায় তাকে অবশ্য পুলিশ ছেড়ে দিয়েছে। যদিও স্থানীয় এক প্রচার মাধ্যমের দাবি সেই বালকের দাদা খুনের অভিযোগে ক্যানেলার জেলে বন্দি।
কেন তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হল, সেই বিষয়ে এক পুলিশ কর্তা ভ্লাদিমির মেদেইরস মেট্রোপলিস সংবাদপত্রে জানিয়েছেন, অভিযুক্তের শারীরিক সমস্যার কথা ভেবে দেখা হলে এই ডাকাতি কার্যত অসম্ভব ছিল।