এটাই আশার আলো’, আগ্নেয়াস্ত্র হাতে তুলে নিয়ে বলছেন ইউক্রেনের সাংসদ। রুশ সেনার আক্রামন ঠেকাতে এবার নিজের হাতেই আগ্নেয়াস্ত্র তুলে নিয়েছেন। যখন দেশের নীল আকাশ ঢেকে যায় বারুদের কালো ধোঁয়ায়, প্রাণ বাঁচাতে মেট্রো স্টেশনকে বেছে নিতে হয়, যে সময় চোখের সামনে নিজের বসত বাড়ি শত্রু পক্ষের হামালায় তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে। তখন প্রাণ বাঁচাতে আর কি’ই বা করার থাকে। দেশের হয়ে লড়তে হাতে তুলে নিতেই হয় আগ্নেয়াস্ত্র। আর তিনি তো দেশের সাংসদ। তাই অবলীলায় তাঁর হাতে উঠে এসেছে কালাশনিকভ। তিনি কিরা রুডিক। ইউক্রেনের (Ukraine) পার্লামেন্টেরিয়ান জানাচ্ছেন, এই পরিস্থিতিতে হাতের কালাশনিকভ তাঁকে আশার আলো দেখাচ্ছে।
নিজের টুইটার হ্যান্ডলে কিরা শেয়ার করেছেন এই ছবি। যা দেখে মুগ্ধ নেটিজেনরা। ছবিটি পোস্ট করে তিনি লিখেছেন, ”আমি কালাশনিকভ চালাতে শিখেছি এবং হাতে অস্ত্র তুলে নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি। শুনতে অদ্ভুত লাগছে। কেন না ক’দিন আগেও এসব আমার মাথায় ছিল না। আমাদের পুরুষদের মতোই আমরা নারীরাও এবার দেশের মাটিকে রক্ষা করতে প্রস্তুত।”
পুতিনের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে কার্যতই ক্ষোভে ফুঁসছেন কিরা। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি জানিয়েছেন, ”আমি খুব খুব রেগে গিয়েছিলাম যখন যুদ্ধটা শুরু হল। আর এখনও অত্যন্ত রেগে রয়েছি। আমি এখনও বুঝতে পারছি না কেন আমাদের প্রতিবেশী দেশ রাশিয়া ও পুতিন ইউক্রেনের অস্তিত্বকেই অস্বীকার করছেন। এবং আমি আরও বেশি রেগে গিয়েছি নিজের শহর ছাড়ার উপক্রম হয়েছে বলে। আমার পরিবারও হুমকির মুখে পড়েছে। আর এই সবই ঘটছে একজন উন্মাদ একনায়কের ইচ্ছেতে!”
কিরা জানিয়েছেন, তিনি ও তাঁর পুরুষ সঙ্গীই কেবল নন। তাঁর বহু সাথীই হাতে বন্দুক তুলে নিয়েছেন পুতিনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে। তাঁরা সকলে মিলে পুতিনের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফুঁসছেন। কিরার হুঁশিয়ারি, ”রুশ সেনাকে আমাদের দেশের মাটি ছেড়ে চলে যেতে হবেই। কেননা আমাদের দেশ স্বাধীন দেশ। আমরা এর সার্বভৌমত্ব রক্ষা করবই। আমরা চাই এই ইউক্রেনেই আমার সন্তান বাস করুক। এই দেশ তো ওদের জন্য়ই গড়ে তোলা হয়েছে। জনৈক ভ্লাদিমির পুতিনের (Vladimir Putin) জন্য নয়”।