Advertisment

এক আংটিতেই গাঁথা ৭,৮০১ হিরে, গিনেস বুকে নাম তুললেন ভারতীয় গয়না ব্যবসায়ী

ব্রহ্ম কমলম নামে হিমালয় পর্বতে প্রস্ফুটিত এক প্রজাতির ফুলের আদলে তৈরি এই আংটি।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
diamond-ring

এক আংটিতেই গাঁথা ৭ হাজারের বেশি হিরে! তাজ্জব হয়ে যাবেন এই গয়নার জিজাইন দেখলে। আর সেই বহুমূল্য আংটির জন্যই গিনেস বুক অফ রেকর্ডে নাম তুলে ফেললেন হায়দরাবাদের হিরে ব্যবসায়ী।

Advertisment

দুর্মূল্য এই হিরের আংটি দেখতে একেবারে অর্ধপ্রস্ফুটিত পদ্মফুলের মতো। ব্রহ্ম কমলম নামে হিমালয় পর্বতে এক প্রজাতির ফুল পাওয়া যায়। সেই ফুলের আদলেই এই হিরের আংটি তৈরি করা হয়েছে বলে জানান, গিনেস বুক অফ রেকর্ডে নাম লেখানো ভারতীয় গয়না ব্যবসায়ী কোট্টি শ্রীকান্ত। কথিত আছে, হিমালয়ের পার্বত্য অঞ্চলে প্রস্ফুটিত এই ফুলের পাপড়ি নাকি বিকশিত না হলে, সৌভাগ্য উদয় হয় না! চন্দুভাই ডায়মন্ড স্টোরের কর্তা কোট্টি শ্রীকান্তের ক্ষেত্রে এই কথাটা একেবারে অক্ষরে অক্ষরে ফলে গিয়েছে। কয়েক বছরের অক্লান্ত পরিশ্রমে তাঁর উদ্যোগে তৈরি করা হয়েছে এই আংটি। যাতে কিনা ১টা কিংবা ২টো নয়, ৭৮০১টি হিরে খচিত রয়েছে। সাধ করে শ্রীকান্ত বহুমূল্য এই আংটির নাম রেখেছেন, 'দ্য ডিভাইন- ৭৮০১ ব্রহ্ম বজ্র কমলম'।

সূত্রের খবর, এত সংখ্যক হিরে খচিত এযাবৎকাল সেরকম কোনও হিরের আংটির খোঁজ পাওয়া যায়নি। কাজেই সব দিক খতিয়ে দেখে গিনেস বুক কর্তৃপক্ষও হায়দরাবাদের কোট্টি শ্রীকান্তের নাম তালিকাভুক্ত করতে বাধ্য হয়েছে। চলতি অক্টোবর মাসেই উত্তরাখণ্ডে এই সিজনের প্রথম ব্রহ্মকমল বিকশিত হয়েছে। আর তার ঠিক কয়েক দিনের মধ্যেই হায়দরাবাদের ব্যবসায়ীর তৈরি এই হিরের আংটি বিশ্বজোড়া রেকর্ড গড়ে ফেলল।

তা দুর্মূল্য এই হিরের আংটি কেমন? ছয়টি স্তরে বিন্যাস্ত এই হিরের পদ্মের কোরকদল, প্রতিটি স্তরে রয়েছে ৮টি করে পাপড়ি। সূত্রের খবর, গত বছরই নাকি গিনেস বুক কর্তৃপক্ষের কাছে এই আংটি জমা করেন শ্রীকান্ত এবং তাঁর প্রতিষ্ঠান। এর পর শুরু হয় চুলচেরা বিচারের পালা। সবার প্রথমে যাচাই করা হয় হিরের গুণমান। দেখা যায় কৃত্রিম নয়, একেবারে আসল হিরেই ব্যবহার করা হয়েছে এতে। পরবর্তী ধাপগুলোতেও চুলচেরা বিশ্লেষণের মধ্য দিয়ে উতরে যায় এই আংটি। তারপরই 'মোস্ট ডায়মন্ডস সেট ইন ওয়ান রিং'-এর খেতাব জিতে নেয় হায়দরাবাদের হিরে ব্যবসায়ীর তৈরি ব্রহ্মকমলম আংটি।

Hyderabad
Advertisment