অনেক সময় মার্কশিট কেবল একটি কাগজের টুকরো ছাড়া আর কিছুই নয়। জীবনের সাফল্যের পথ নির্ধারণে মার্কশিটের ভূমিকা ঠিক কতখানি তা নিয়ে তর্ক বিতর্ক চলতেই থাকে। তবে অনেকেই মনে করেন কোন ছাত্রের মার্কশিট তার জীবনের ভবিষ্যৎকে সংজ্ঞায়িত করতে পারেননা।
দিন কয়েক আগেই সোশ্যাল মিডিয়ায় তোলপাড় ফেলেছিল একটি মার্কশিট। মাধ্যমিক পরীক্ষায় ইংরাজিতে ৩৫, অঙ্কে ৩৬ এবং বিজ্ঞানে ৩৮ নম্বর পাওয়া সেদিনের সেই ছেলেটা আজ জেলাশাসক। হ্যাঁ এই গল্প অনেকটা চমকে ওঠার মতই। আইএএস আধিকারিক তুষার সুমেরার মাধ্যমিকের রেজাল্ট আজ রীতিমত ভাইরাল নেটদুনিয়ায়। একজন সাধারণ মানের ছাত্র হওয়া সত্বেও কীভাবে কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে তুষার আজ জেলাশাসক হয়ে উঠেছেন সেই গল্প অনুপ্রাণিত করেছে অনেককেই।
এবার সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের ক্লাস টেনের মার্কশিট তুলে ধরেছেন ছত্তিসগড় ক্যাডারের ২০০৯ সালের আইএসএস আধিকারিক অবনীশ শরণ। ১৯৯৬ সালে বিহার বোর্ডে দশম শ্রেণীর পরীক্ষার মার্কশিট তিনি টুইটারে শেয়ার করেছেন। মাত্র ৪৪.৮৫ শতাংশ নম্বর পেয়ে তৃতীয় বিভাগে পাশ করেও জীবনের পরীক্ষায় সফল এই আইএএস আধিকারিক। অনেকেই এই মার্কশিট দেখে অনুপ্রাণিত হয়েছেন।
আইএএস আধিকারিক অবনীশ শরণ সম্প্রতি একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দিতেই নিজের ক্লাস টেনের মার্কশিট শেয়ার করেছেন টুইটারে। ‘আপনার আজকের প্রাপ্ত নম্বর আপনার ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে এমন কোন মানে নেই, কঠোর পরিশ্রম-অধ্যবসায় আর ইচ্ছাশক্তির মাধ্যমে আপনি অনায়াসেই নিজের স্বপ্নকে ছুঁতে পারবেন’।
একজন ইউজার লিখেছেন, “স্যার আপনি বিশ্বাস করবেন না যে আপনি আমাকে কতটা অনুপ্রাণিত করেছেন, কাকতালীয়ভাবে, আমিও আমার দশম শ্রেণীর পরীক্ষায় ৩১৪ পেয়ে এবং ৩য় বিভাগে পাশ করি কিন্তু আমি এই ভেবে পড়াশুনা ছেড়ে দিয়েছিলাম যে আমি হয়ত জীবনে সেভাবে কিছুই করতে পারব না, আজ আপনি আমার ধারণা বদলে দিলেন”।
অন্য একজন লিখেছেন, “এটি সেই সমস্ত ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য একটি দুর্দান্ত অনুপ্রেরণা যারা বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে”।