বিমানের উইন্ডো সিটের পাশেই গুটখার পিক! ছবি ভাইরাল হতেই তোলপাড়। দিন কয়েক আগেই একাধিক সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে হাওড়া ব্রিজের বে- আব্রু ছবি। গুটখার দাগ যুক্ত হাওড়া ব্রিজের একটি ছবি টুইটারের মাধ্যমে সকলের সামনে আনেন একজন আইএএস অফিসার অবনীশ শরণ।
তার এই পোস্টে তিনি অমিতাভ বচ্চন, শাহরুখ খান, অজয় দেবগন ও অক্ষয় কুমারকে ট্যাগ করেছেন, এরপরই বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে তাঁর এই পোস্টটিকে ঘিরে। ফের সংবাদ শিরোনামে অবনীশ শরণ। ফের ভাইরাল গুটখার পিক! তবে এবার হাওড়া ব্রিজ নয়। বিমানের উইন্ডো সিটের পাশেই উইন্ডো স্ক্রিনের একবারের নীচে গুটখার পিক। যা দেখে রীতিমত চমকে উঠেছেন নেটিজেনরা।
বিমানকেও গুটখার কবল থেকে মুক্ত রাখা গেল না। এই ছবি বেশ কয়েক দিন ধরেই নেট মাধ্যমে তোলপাড় ফেলেছে। ভাইরাল হতেই তাতে ১১ হাজার ভিউ হয়েছে। সকলেই বিমানে এমন কাজের নিন্দায় সরব হয়েছেন। সেই সঙ্গে অনেকেই এই কাজের জন্য জরিমানারও দাবি করেছেন। একটি তামাকজাত পণ্যের বিজ্ঞাপনে অভিনয় করার জন্য তীব্র সমালোচনার মুখে পরেন অভিনেতা অক্ষয় কুমার, এরপরই বিজ্ঞাপনটির থেকে সরে আসার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। একইভাবে বিগ বিও তামাকজাত দ্রব্যের প্রচারের সঙ্গে জড়িয়ে পরার ফলে অনুরাগীদের রোষের সম্মুখীন হয়েছিলেন
শাহরুখ খান, অজয় দেবগণের সঙ্গে গুটখার বিজ্ঞাপন করে বিপাকে পড়েছিলেন অক্ষয় কুমার। ভক্তদের কাছ থেকে শুনতে হয়েছিল- “এত নিচে নামলেন?” খিলাড়ি কুমারের মতো স্বাস্থ্য সচেতন তারকা বলিউডে খুব কমই রয়েছেন। প্রতিদিন সকালে লাউ-করলার জুস পান করা থেকে ব্যায়াম, সবই করেন শরীর ফিট রাখতে।
অনেকেই প্রিয় তারকার ফিটনেস অনুসরণ করে চলেন। অতঃপর সেই অভিনেতাই যখন গুটখা-পানমশালার বিজ্ঞাপন করেন, তিনি যে স্বাভাবিকভাবেই বিতর্কের মুখে পড়বেন, তা বলাই বাহুল্য। বিতর্কের মুখে পড়ে এক ইন্সটাগ্রাম পোস্টে খিলাড়ি কুমার জানান, “আমার সমস্ত ভক্ত, শুভাকাঙ্ক্ষীদের কাছে ক্ষমা চাইছি। গত কয়েকদিন ধরে আপনাদের থেকে যা প্রতিক্রিয়া পেয়েছি, তাতে গভীরভাবে প্রভাবিত আমি। যদিও আমি কোনও তামাকজাত দ্রব্যের বিজ্ঞাপন করিনি, তবুও বিমল এলাচির ভিডিওতে মুখ দেখিয়ে আপনাদের ভাবাবেগে যে আঘাত করেছি, তাই জন্য আমি এই সংস্থার চুক্তি থেকে সরে দাঁড়াচ্ছি”।
প্রসঙ্গত, গুটখার বিজ্ঞাপন করে এর আগে বিতর্কের মুখে পড়েছিলেন অজয় দেবগণ, অমিতাভ বচ্চন-সহ আরও অনেকেই। তবে সমালোচনার জেরে বিগ বি তামাকজাত দ্রব্যের সংস্থার সঙ্গে চুক্তি বাতিল করে সমস্ত টাকা ফেরত দিয়ে দিয়েছিলেন। শুধু তাই নয়, ক্ষমাও চেয়েছিলেন। কিন্তু এত বিতর্কের পরও যত্রতত্র গুটখার পিক ফেলার বদঅভ্যাস যে মানুষের মধ্যে রয়ে গেছে তা বলাই বাহুল্য।