দিল্লির এক আইএএসের আচরণের জেরে সোশ্যাল মিডিয়া জুড়েই নিন্দার ঝড় বয়ে গিয়েছে। দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদনের জেরে বদলিও হতে হয় ওই আমলা ও তার স্ত্রী’কে। দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে দেখা গিয়েছে অনুশীলনের সময়ের অনেক আগেই খেলোয়াড়দের স্টেডিয়াম থেকে বের করে দেওয়া হত কারণ হিসাবে তাদের বলা হত ওই সময়ের আধ ঘন্টার মধ্যেই দিল্লির প্রিন্সিপাল (রাজস্ব) সেক্রেটারি সঞ্জীব খিরওয়াড় তাঁর প্রিয় পোষ্যটিকে নিয়ে স্টেডিয়ামে পাইচারি শুরু করেন। তার জেরেই ত্যাগরাজ স্টেডিয়ামে নাকি সময়ের আগেই অনুশীলন শেষ, করতে হচ্ছে খেলোয়াড় ও কোচদের।
এমন ঘটনা সামনে আসতেই শুরু হয়েছে নিন্দার ঝড়। পাশাপাশি অসমের এক আইএএস বন্যা কবলিত এলাকার মানুষের সেবায় সারাক্ষণ থেকে মানুষের মন জিতে নিয়েছেন। সকলেই আইএএস কীর্তি জাল্লির কাজে ধন্য ধন্য করছেন। সম্প্রতি নেটমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে কীর্তির কিছু ছবি।
তিনি অসমের কাছাড় জেলার ডেপুটি কমিশনার পদে রয়েছেন। এহেন কীর্তিকেই দেখা গিয়েছে স্যান্ডেল পায়ে কাদার মধ্যে দিয়ে হাঁটতে। বন্যা বিধ্বস্ব মানুষের পাশে দাঁড়াতে এই আইএএস যেভাবে তাঁদের কাছে পৌঁছে গিয়েছেন, তা নজর কেড়েছে সবার।
দিল্লির ঘটনার মাঝেই কীর্তির এমন কৃতিত্ব মন জয় করেছে নেটিজেনদের। ভাইরাল হওয়া ছবিতে দেখা যাচ্ছে খালি পায়ে কাদা মাখা রাস্তায় শাড়ি পড়ে গ্রামবাসীদের পাশে দাঁড়িয়ে ক্ষয়-ক্ষতিত হিসাব কষছেন এই আমলা। মুহুর্তেই ভাইরাল হয়েছে কীর্তির এই ছবি। তা মন জিতে নিয়েছে সকলের। কিন্তু কে এই আমলা?
হায়দ্রাবাদের বারেঙ্গাল জেলায় জন্ম। সকল মহিলা সম্প্রদায়ের কাছে এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন কীর্তি। ১৯৮৯ সালে জন্ম, ২০১২ সালেই আইএএস হিসাবে কাজ যোগ দেন প্রতিভাবান এই মহিলা আমলা। আসাম বরাক উপত্যকার হাইলাকান্দি জেলার প্রথম মহিলা জেলা ডেপুটি কমিশনার হিসাবে তার দায়িত্ব গ্রহণ করেন ২০২০ সালে তাঁর সেরা জনসেবামূলক কাজের জন্য তিনি সেরা আমলার পুরস্কার জেতেন। তার কাজের দক্ষতার জেরে তাকে অসমের কাছাড় জেলায় বদলি করা হয়।
সেখানে তিনি জেলার ডেপুটি কমিশনার পদে আসীন। ভয়াবহ বন্যা চলাকালীন সময়ে নিষ্ঠার সঙ্গে তার দায়িত্ব পালন করেন এই আইএসএস। সব সময় বন্যা কবলিত এলাকায় ঘুরে পরিস্থিতি সরজোমিনে খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নিয়েছেন। তাঁর কাছে খুশি এলাকাবাসীও। অসমে ভয়াবহ বন্যা। তার জেরেই গৃহহীন প্রায় ৬ লক্ষ মানুষ। বন্যার জেরে ইতিমধ্যেই মৃত্যু হয়েছে ৩০ জনের।
সাত জেলায় ইতিমধ্যেই বন্যার কবলে ৫লক্ষ ৬১ হাজারের বেশি মানুষ ঘরছাড়া। রাজ্যের দুর্যোগ মোকাবিলা দফতর সূত্রে পাওয়া খবর অনুসারে জানা গিয়েছে বন্যার কারণে ভুমিধস সহ নানান কারণে এখনও পর্যন্ত মোট ৩০ জন প্রাণ হারিয়েছেন। কাছাড়, ডিমা হাসাও, হাইলাকান্দি, হোজাই, কার্বি আংলং পশ্চিম, মরিগাঁও জেলায় ভূমিধসে ৫ লক্ষ ৬১ হাজার ১০০ জনের বেশি মানুষ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। নগাঁও’র পরিস্থিতি সব থেকে ভয়াবহ।