সন্তানের সাফল্যে গর্বে বুক ভরে ওঠে সকল বাবা-মা’র। আজ এমনই এক কাহিনী সকলকেই জীবন সংগ্রামে লড়াইয়ে অনুপ্রেরণা জোগাবে। বাবা বাস ড্রাইভার। ছোট বেলা থেকেই অভাব নিত্যসঙ্গী। দারিদ্রের সঙ্গে লড়াই করেই চলেছে পড়াশুনা। যেহেতু পরিবারের আর্থিক অবস্থা খুব একটা ভাল ছিল না, পরিবার চেয়েছিল মেয়ের তাড়াতাড়ি বিয়ে দিতে। কিন্তু মেয়ে যে বিয়ে করতে নারাজ। নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে অভাবকে হারিয়ে দৃষ্টান্ত গড়তে চেয়েছিলেন তিনি। অবশেষে কঠোর অনুশীলন আর জীবনযুদ্ধে হার না মানা জেদেই আসে সাফল্য। আইএএস পরীক্ষায় চূড়ান্ত সফল হয়ে আজ হাজার হাজার ছাত্র ছাত্রীদের অনুপ্রেরণা IAS প্রীতি হুডা।
ছেলেবেলা থেকেই পড়াশুনার প্রতি অদম্য আগ্রহ ছিল প্রীতির। ৭৭ শতাংশ নম্বর নিয়ে দশম শ্রেণি পাস করার পর ৮৭ শতাংশ নম্বর নিয়ে দ্বাদশে ফের আসে সাফল্য। এরপর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি প্রীতিকে। প্রীতি হরিয়ানার বাহাদুরগড়ের বাসিন্দা এবং তার বাবা পেশায় বাস চালক। দ্বাদশের পর প্রীতি উচ্চশিক্ষার জন্য দিল্লির এক কলেজে ভর্তি হন এবং হিন্দিতে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। এরপর দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে হিন্দিতে পিএইচডিও করেছেন প্রীতি।
প্রীতি তার পুরো পড়াশোনা হিন্দি মিডিয়াম থেকে করেছেন। তিনি UPSC-তেও হিন্দিকে তাঁর মাধ্যম হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন। এর সঙ্গে তার ঐচ্ছিক বিষয়ও ছিল হিন্দি। এমন নয় যে প্রীতি প্রথমবার পরীক্ষা দিয়েছে এবং ক্লিয়ার করেছে UPSC। প্রীতি প্রথম চেষ্টায় UPSC ক্লিয়ার করতে পারেনি। এর পরে তিনি আরও কঠোর পরিশ্রম করেন এবং ২০১৭ সালের পরীক্ষায় আসে সাফল্য। প্রীতির সর্বভারতীয় র্যাঙ্ক ছিল ২৮৮।