অসম্ভব বলে কিছুই হয়না, তার প্রমাণ আরও একবার সামনে এসেছে। স্টেশনে কুলির আকজ করে স্টেশনের ফ্রি ওয়াই-ফাই ব্যবহার করে পড়াশোনা করে, আইএএস হয়ে তাক লাগালেন শ্রীনাথ। তাঁর এই সাফল্যের কাহিনী সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে।
মিডিয়া রিপোর্ট অনুসারে জানা গিয়েছে শ্রীনাথ, আইএএস হওয়ার আগে স্টেশনে কুলির কাজ করতেন। অবসর সময়ে স্টেশনের ফ্রি ওয়াইফাই ব্যবহার করে আইএএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন৷ কেরলের এই যুবকের কাহিনী চমকে দেবে যে কাউকেই। একই সঙ্গে হার মানাবে চিত্রনাট্যকেও।
মানুষ যদি কিছু করার জন্য ‘দৃঢ় সংকল্প’করে থাকেন তবে জীবনের সমস্ত প্রতিকূলতার মুখোমুখি হয়েও তিনি সেটি অর্জন করতে পারবেন। অনেকেই জানেন ইংরাজি শব্দ ‘Impossible’ এর মধ্যেও তিনটি শব্দ লুকিয়ে আছে যা বলে “I M Possible”। এমনই এক অনুপ্রেরণামূলক গল্প সামনে এসেছে। এর্নাকুলাম রেলওয়ে স্টেশনে কুলির কাজ করেও আইএএস পরীক্ষায় তাক আগানো সাফল্য অবাক করেছেন সকলকেই।
শ্রীনাথ আদতে কেরলের বাসিন্দা। সংসার চালাতে পেটের তাগিদে তিনি রেলস্টেশনে কুলির কাজ করতেন। কঠোর অধ্যাবসায় আর হার না মানা লড়াইকে সঙ্গে নিয়ে তিনি আজ আইএএস অফিসার হয়েছেন। শ্রীনাথ যখন কুলির কাজ করতেন তখন থেকেই নিজেকে এমন কিছু হিসাবে দেখার স্বপ্ন দেখতেন যা আর পাঁচটা সাধারণ মানুষকে কিছু করতে অনুপ্রাণিত করবে। ভাবনা অনুসারেই এগিয়ে যান তিনি। UPSC কোচিংয়ের জন্য তাঁর কাছে পর্যাপ্ত টাকা ছিল না, তাতেও শ্রীনাথ হাল ছাড়েননি।
অসম্ভবকে সম্ভব করে দৃষ্টান্ত গড়েন তিনি। রেলের ফ্রি ওয়াইফাই ব্যবহার করে সারাদিন হাড়ভাঙা পরিশ্রমের পর রাত জেগে শুরু হয় পড়াশুনা। ইউপিএসসি-র প্রস্তুতিও শুরু করেন তিনি। তার কঠোর পরিশ্রম ফলপ্রসূ হয় এবং তিনি কেরালা পাবলিক সার্ভিস কমিশনের আইএএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন।
মিডিয়া রিপোর্ট অনুসারে, শ্রীনাথ জানিয়েছেন, কুলির কাজ সেরে অবসর সময়ে স্টেশনে ফ্রি ওয়াইফাইয়ের সুবিধা নিয়ে তিনি UPSC-এর প্রস্তুতি নিতেন। যাত্রীদের লাগেজ বহন করার সময় শ্রীনাথ অনলাইন কোর্সের অডিওও শুনতেন। তিনি প্রথম দুবার পরীক্ষায় বসেন কিন্তু সাফল্য অধরাই ছিল। তবুও তিনি নিরাশ হননি তিনি। অবশেষে, তিনি কেরালা পাবলিক সার্ভিস কমিশনের আইএএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে চমকে দেন তামাম ভারতবাসীকে। অন্যান্য ছাত্রদের জন্য অনুপ্রেরণা হয়ে দাঁড়ায় তাঁর এই পরিশ্রম।