কোভিড কেয়ারে সাধারণের প্রবেশ নিষিদ্ধ। সাধারণ রোগীদের জন্য হাসপাতালে একটা ভিজিটিং আওয়ার্স রয়েছে। কিন্তু কোভিড রোগীদের জন্য সেই ব্যবস্থা নেই। তবে কী পরিজনের একটুও চোখের দেখা দেখা যাবে না? গোটা দেশে যখন এই হাহাকার, তখন বিকল্প ব্যবস্থা নিয়ে হাজির কর্ণাটকের এক হাসপাতাল।
বিকেল ৫টা বাজলেই উত্তর ব্যাঙ্গালুরু কেসি জেনারেল হাসপাতাল অভিনব ভিজিটিং আওয়ার্সের ব্যবস্থা করেছে। শুধুমাত্র কোভিড রোগী আর তাঁদের আত্মীয়দের জন্য। কী সেই ব্যবস্থা? কোভিড আইসিইউ ওয়ার্ড আর হসপিটাল করিডরের মাঝে একটা পুরু কাচের জানলায় বসানো সিসিটিভি ক্যামেরা। সেই ক্যামেরায় চোখ রেখেই ওয়ার্ডে ভর্তি আপনজনের গতিবিধি দেখে চলেছেন পরিবারের সদস্যরা।
একইভাবে আইসিইউ থেকে করিডরের দিকে মুখ করা একটা ক্যামেরায় ফুটে উঠছে আপনজনের চিত্র। সেই চিত্র দেখেই উচ্ছ্বাস প্রকাশ করছেন আক্রান্তরা। বৃহস্পতিবার এভাবেই করোনা আক্রান্ত এক বৃদ্ধার চোখে জল এনে দিয়েছিল তাঁর পরিবারের এক তরুণ সদস্য।
এই ব্যবস্থাকে স্বাগত জানিয়ে বালা কে নামে এক ব্যক্তি বলেন, ‘এর আগে আমার শ্যালক একটা প্রাইভেট হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। কিন্তু সেখানে দৈনিক ৬০ হাজার টাকা লাগছিল। তিনদিন আগে এই হাসপাতালের আইসিইউ বেড ফাকা পাই। এখানে আবার রোগীর সঙ্গে দেখা করার বিশেষ ব্যবস্থা রয়েছে। সেটা আমাদের অনেকটা উদ্বেগ কমিয়ে দিচ্ছে।‘
এদিকে, করোনার দ্বিতীয় ঢেউ সুনামির মতো আছড়ে পড়েছে ভারতে। স্বাস্থ্য পরিকাঠামো একেবারে ধসে পড়েছে একাধিক রাজ্যে। এই অবস্থায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শুক্রবার এই বৈঠকের মূল আলোচ্য বিষয় ছিল দেশের কোভিড পরিস্থিতি। ভার্চুয়ালি মন্ত্রীদের সঙ্গে কথা বলেন মোদী।
এই বৈঠকে মোদীর প্রত্যেককে আর্জি, মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য। মানুষের সঙ্গে সম্পর্কে থাকার বার্তা দেন তিনি। আরও বেশি করে সাহায্য করে প্রতিক্রিয়া জানার চেষ্টা করতে। তিনি স্থানীয় স্তরে সমস্যায় দ্রুত সমাধানের চেষ্টা করার জন্য জোর দিয়েছেন। উল্লেখ্য, সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের দাপট বাড়ার পর এই প্রথম মন্ত্রিসভার বৈঠক করলেন প্রধানমন্ত্রী।
বৈঠকের নির্যাস হল, শতাব্দীতে একবার আসা ভয়ঙ্কর সঙ্কট হিসাবে দেখতে হবে করোনা অতিমারীকে। গোটা বিশ্বকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দিয়েছে। বৈঠকে ভারত সরকারের একাধিক জরুরি পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা হয়। কেন্দ্র-রাজ্য এবং সাধারণ মানুষকে একজোট হয়ে এই লড়াই চালানোর বার্তা দেওয়া হয়। মোদীর দাবি, সরকারের সবকটা হাত পরিস্থিতি মোকাবিলায় ব্যস্ত। এছাড়াও মন্ত্রিসভায় গত ১৪ মাসে কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারগুলির সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপগুলি নিয়ে আলোচনা হয়।