“কাঁচা বাদাম” গান আপলোড হতে না হতেই কয়েকদিনের মধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়াতে ঝড় । একই গতিতে জীবন বদলেছে ভুবন বাদ্যকারের । গান গেয়েই বাকি জীবন কাটাবেন ভুবন বাদ্যকার । তবে সাহায্য আরও কিছু আসলে ভালো হতো মত ভাইরাল গানের স্রষ্টার।
নিজেদের সামগ্রী বিক্রি করার জন্য বিভিন্ন ধরনের পথ বেছে নেন অনেকেই। কেউ বাঁধেন গান, কেউ আবার কবিতার বলে তাঁর সামগ্রী বিক্রি করার জন্য আশপাশের মানুষকে আকৃষ্ট করার চেষ্টা করেন। গ্রামগুলিতে আজও এই ধরনের ফেরিওয়ালাকে দেখতে পাওয়া যায়। এখন সময় বদলেছে। তবে এই সব বিক্রেতা-শিল্পীর কদর কমেনি। অচেনা গ্রামের অপরিচিত ব্যক্তি জনপ্রিয় হয়ে উঠলেন সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে। গ্রামের গণ্ডি ছাড়িয়ে এখন বীরভূমের ভুবন বাদ্যকরের গান রীতিমতো ভাইরাল। ইতিমধ্যে তাঁর এই গান পাড়ি দিয়েছে দেশের সীমানা অতিক্রম করে বিদেশেও। ভুবন বাদ্যকর এখন হয়ে উঠেছেন সেলিব্রিটি। সম্প্রতি দাদাগিরির মঞ্চেও তিনি ঝোড়ো ইনিংস খেলে দাদার হাত থেকে তুলে নিয়েছেন পুরস্কার। সারা বিশ্ব আজ যেন ভুবনময়।
ইতিমধ্যেই কাঁচা বাদাম গানের হরিয়ানভি রিমিক্স সামনে এসেছে। আর সেই গান সামনে আসতেই ভাইরাল হয়েছে সেটিও। বাজেওয়ালা রেকর্ডস এই গানের রিমিক্স ভার্সন সামনে এনেছে। এই গানে ভুবন বাবুর সঙ্গে গলা মিলিয়েছেন অমিত ধুল এবং নিশা ভাট। গানটির বাংলা লিরিক ভুবন নিজে লিখলেও, হরিয়ানভি অংশটি কম্পোজ করেছেন ডেভিল কাগসরিয়া।এই গান সামনে আসতেই তাতে প্রায় ২০ লক্ষের কাছাকাছি ভিউ হয়েছে।
এক কথায় কাঁচা বাদাম গান গান তোলপাড় ফেলেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। বৃহস্পতিবার রাজ্য পুলিশের তরফে তাঁকে সম্বর্ধনা দেওয়া হয়। ভবানী ভবনে তাবড় আধিকারিকদের উপস্থিতিতে তাঁর হাতে তুলে দেওয়া হয় পুষ্পস্তবক এবং শাল। সেখানে রাজ্য পুলিশের আধিকারিকদের ‘কাঁচা বাদাম’ গেয়েও শোনান ভুবন। কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র খোলাখুলি নিজেকে ভুবনের অনুরাগী বলে জানিয়েছেন। ভুবনের ডালা থেকে বাদাম খেতে খেতে দলের হয়ে পুরভোটে প্রচারেও দেখা গিয়েছে মদনকে। এমনকি ‘কাঁচা বাদাম’-এর সুরে গলা মিলিয়েছেন নিজেও। ভুবনকে দোকান করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন মদন। মূলত এদিন ভুবন বাদ্যকরের জন্মদিন উপলক্ষেই তাঁকে এই বিশেষ সম্মান দেন রাজ্য পুলিশ।
ভবানী ভবনে কলকাতা পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের উপস্থিতিতে বাদাম বিক্রেতা ভুবন বাদ্যকারকে সম্মান জানানো হয়। পুষ্পস্তবক, শাল সহ কিছু উপহার এদিন ভুবন বাবুর হাতে তুলে দেন কলকাতা পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। তাদের বক্তব্য এরকম একজন প্রতিভা, যিনি গান না শিখেও ইশ্বরের আশীর্বাদে অসাধারন সুরে গান গেয়েছেন। 'তাই তাকে সম্মান জানানোর জন্যই আমাদের আজকের এই ছোট প্রচেষ্টা' বললেন কলকাতা পুলিশের একজন আধিকারিক।