নেট মাধ্যমের দৌলতে রাতারাতি সেলিব্রিটি হয়ে ওঠার অনেক নমূনাই আমাদের সামনে রয়েছে তা সে ভুবন বাদ্যকর হোক অথবা, কেরলের দিনমজুর ষাট বছরের মাম্মিকা বা ছত্তীসগঢ়ের ‘বচপন কা প্যার’ খ্যাত কিশোর সহদেব ডিরডো! নেটমাধ্যমের দৌলতেই এখন তাঁরা ‘সেলিব্রিটি’। সম্প্রতি সেই তালিকায় নতুন সংযোজন, অতি দরিদ্র পরিবারের কিশোরী কিসবু মোলের নাম। আজ সেও ভুবন-সহদেবদের মতো ‘ইন্টারনেট সেনসেশন’।
Advertisment
আপনারা হয়ত অনেকেই জানেন না কে এই কিসবু। কেন’ই বা সে আজ ইন্টারনেট সেনসেশন! জানিয়ে রাখি, খুব অল্প বয়সেই বাবাকে হারিয়েছে কিসবু। তার পর থেকে তার মা কাঞ্চন বেলুন বিক্রি করে সংসার চালানো শুরু করেন। মাকে সাহায্য করার জন্য নিজেও বেলুন বিক্রি করা শুরু করে কিসবু। বিভিন্ন পাড়া এবং মেলায় ঘুরে মায়ের সঙ্গে বেলুন বিক্রি করে সে। তেমনই কেরলের কুন্নুরে একটি মেলায় গিয়েছিল কিসবু। ওই মেলাতেই ঘুরে ঘুরে ছবি তুলছিলেন এক ফোটোগ্রাফার।
তখনই তাঁর ক্যামেরায় ধরা পড়ে কিসবু। ভাইরাল হওয়া পাকিস্তানি কিশোরী যে তার অদ্ভুত চাহনি এবং হাসিতে নেটাগরিকদের মন জয় করেছে, কুন্নুরের মেলায় আসা ফোটোগ্রাফারও কিসবু-র চাহনি একটা সৌন্দর্য খুঁজে পেয়েছিলেন। তার পরই কিসবুর মায়ের কাছে ওই ফোটোগ্রাফার যান এবং তাঁর অনুমতি নিয়ে তার একটা ছবি ক্যামেরাবন্দি করে ফেলেন। নেটমাধ্যমে সেই ছবি শেয়ার করতেই ব্যাপক ভাইরাল হয়। আর এখান থেকেই শুরু হয় কিসবুর নতুন জীবন।
‘সুন্দরী বেলুন বিক্রেতা’ এই নামে যখন নেটমাধ্যমে কিসবুর ছবি নিয়ে যখন বিপুল চর্চা চলছে তার ‘মেকওভার’-এর জন্য এগিয়ে আসে কুন্নুরেরই একটি বিউটি পার্লার। খোঁজ নিয়ে কিসবু ও তাঁর মায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেন বিউটি পার্লারের মালিক। কিসবুর ‘মেকওভার’-এর ব্যবস্থা করেন। এবং এক জন পেশাদার ফোটোগ্রাফার এনে তার ছবি তোলান। সেই ‘মেকওভার’-এর ছবিই এখন নেটাগরিকদের মন কাড়ছে। রাতারাতি এক বেলুন বিক্রেতা কিশোরী এখন তারকা। এদিকে মায়ের স্বপ্ন এখন মেয়ের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ। তার কথায়, মেয়েকে উচ্চশিক্ষিত করতে চাই। ও যেন স্বনির্ভর হতে পারে। ভবিষ্যতে ওকে যেন বেলুন বিক্রির জীবন বেছে নিতে না হয়। এটাই আমার প্রার্থনা।”