Advertisment

'সমকামিতা ভনিতার জিনিস নয়', জীবন থেকে কেরিয়ার, সব নিয়ে অকপট Laughtersane

ইউটিউব ছাড়া আর কী ভালবাসেন Laughtersane নিরঞ্জন?

author-image
Anurupa Chakraborty
New Update
Laughtersane - viral

নিরঞ্জনের laughtersane - এক্সপ্রেস ফটোঃ শশী ঘোষ

ইউটিউব - অনেকে ইচ্ছেবশত আবার অনেকে মজার ছলে কিংবা অনিচ্ছাকৃত ভাইরাল হওয়ার শখে অনেকেই এই প্ল্যাটফর্মের দ্বারস্থ হন। প্রত্যেকের গল্পটা এক নয়। ইউটিউব প্লাটফর্মে জনপ্রিয়তাও সকলের ক্ষেত্রে সমান নয়। অক্লান্ত পরিশ্রম করে খেটেখুটে ভিডিও এবং কনটেন্ট বানাতে দিনরাত এক হয়ে যায় তাদের। প্রত্যেকের নিজের কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে। সেই অভিনীত চরিত্রগুলোর কারণেই তারা দর্শকদের ভালবাসা পান, আর বাংলার ইউটিউবে নারী চরিত্রকে আলাদা মাত্রায় যদি কেউ নিয়ে গিয়ে থাকেন তবে সে Laughtersne ওরফে নিরঞ্জন মন্ডল। জনপ্রিয় সে laughtersane হিসেবেই - আর আজ ইউটিউবার হিসেবে সে কতটা সফল সেই নিয়ে জানালেন ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলার বিশেষ সাক্ষাৎকারে।

Advertisment

কেমন আছ?

ভাল! আসলে খুবই ভাল, ইউটিউব - সোশ্যাল মিডিয়া সব নিয়ে ভালই চলছে।

Laughtersane- এর যাত্রা কীভাবে শুরু? বা কী ভেবে শুরু?

সত্যি কথা বলতে গেলে আমার একটা ফিল্মি স্টোরি আছে। আমি সত্যি বলতে গেলে সেই সময় নিজেকে আরও বেশি করে চিনতে শিখছিলাম। নিজের অভ্যন্তরীণ ওরিয়েন্টেশন নিয়ে বুঝতে পারছিলাম। তখন জাস্ট মজা করে একটা ভিডিও বানিয়েছিলাম। সেটা ফেসবুক পোস্ট করি, আশাও করিনি যে ভাইরাল হবে। কিন্তু হঠাৎ করেই সেটা ভাইরাল হয়। ওটা অবশ্য আমি আমার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে শেয়ার করেছিলাম, পেজ থেকে নয়।

ইউটিউবার 'laughtersane' আর বাস্তবের নিরঞ্জন দুটো মানুষ কতটা এক আর কতটা আলাদা?

( হেসে ) দুজনে অনেকটা এক। তার কারণ আমার ভিডিও দেখলে বুঝতে পারবে আমি পাগলামো করি। আর সাধারণত বাড়িতে থাকলে আমি এসবই করি। বিশেষ করে, আমার বাবা মাকে অনেকেই জিজ্ঞেস করে যে আমি আসলেই এরকম আচরণ করি কি না।

publive-image
laughtersane - এক্সপ্রেস ফটোঃ শশী ঘোষ

নিজেকে যখন আবিষ্কার করছিলে, তখন পরিবারের থেকে কীরকম সহযোগিতা পেয়েছিলে?

সত্যি কথা বলতে, আমার সেই সময়টা মা বাবা কেন গোটা পরিবারের সঙ্গেই খারাপ যাচ্ছিল। কেউই বুঝতে পারে না! আর পারলেও সাপোর্ট করাটা মুশকিল। তবে হ্যাঁ, কিছুদিন পর থেকে মায়ের খুব সাহায্য পেয়েছিলাম। আজকে আমার জীবনে যা ভাল সবকিছুই মায়ের জন্য।

তুমি মায়ের চরিত্রেও অভিনয় কর, কিরকম লাগে? বা মা কী প্রতিক্রিয়া দেন?

( হেসে ) আমি সত্যিই মায়ের চরিত্রটা অভিনয় করতে খুব ভালবাসি। মাকে যখন কপি করি তখন খুব গর্ববোধ হয়। এটা মোটেও সোজা নয়। তবে হ্যাঁ মা নিজেও কিন্তু খুব খুশি হয়।

নারী-পুরুষ উভয় চরিত্রেই তোমায় অভিনয় করতে দেখেছি, কোনটা তোমার সবথেকে পছন্দ?

( একটু ভেবে ) এটা আজ পর্যন্ত ভাবিই নি। আমায় সত্যি এটা এবার ভাবতে হবে। নতুন নতুন অনেক চরিত্র চারপাশের লোকজনকে দেখে মাথায় আসে, কিন্তু একটু গভীরে না গেলে বলতে পারব না।

তোমার মতে তোমার কোন চরিত্রটা দর্শকরা সবথেকে বেশি পছন্দ করে?

আমার চরিত্রগুলো সবকটাই লোকজন পছন্দ করে। তবে বর্তমানে বলতে গেলে মিতা আন্টির ভূমিকা নিয়ে অনেকেই বলছেন। মায়ের চরিত্র তো বটেই, এগুলো লোকজন এত পছন্দ করেছেন। সত্যি আমার বলার ভাষা নেই।

publive-image
laughtersane - এক্সপ্রেস ফটোঃ শশী ঘোষ

ভীষণ অবসেসড প্রেমিকার চরিত্রে অভিনয় কর, বাস্তবে কতটা এই অবসেশন বিষয়কে সাপোর্ট কর?

একটু পজেজিভ হওয়া ভাল, একেবারেই খারাপ না। কিন্তু আমি যেরকম দেখাই ওরকম না তাই বলে। ওটা মারাত্মক মাথা খারাপ জাতীয়। আর তাছাড়াও আমি মনে করি প্রেমিকা আর প্রিয় বন্ধুর মধ্যে বন্ধু আমার তালিকায় প্রথম। কারণ আমার বেস্ট ফ্রেন্ড আমাকে সবথেকে ভাল চেনে, সেই তুলনা কোথাও হবে না।

পছন্দের ইউটিউবার কারা আর প্রতিদ্বন্দ্বী কারা?

প্রতিদ্বন্দ্বী নেই! আমি আগে খুব কম্পিটিশন করতাম, যে ওর থেকে ভাল করতে হবে। কিন্তু পরে দেখলাম এটা করলে আরও মুশকিলে পড়ছি। তাই এই জিনিসটা ছেড়ে দিয়েছি। আর পছন্দের ইউটিউবার বলতে Mostlysane ( প্রজাক্তা কোহলি )।ওঁর জার্নিটা আমার খুব ভাল লাগে।

অভিনয়ের সুযোগ এসেছে?

আমার ভূতের রোলটা দেখে অনেকেই ভুতুড়ে চরিত্রে অভিনয় করতে বলেছিল আমায় ( হাসি )। আমি নিজেও ভাবিনি যে ওটা এত মানুষের ভাল লাগবে। ভূতের সিনেমা ভালবাসি, তবে হ্যাঁ এখনও কোনও সুযোগ আসেনি। আসলে ভেবে দেখব।

তোমার ফ্যাশন সেন্স দারুণ! তাহলে ইউটিউবার না হয়ে ফ্যাশন ডিজাইনার হতে ইচ্ছে হয়নি?

না, আসলে ফ্যাশন এই বিষয়টা আমার অনেক পরে ঠিক হয়েছে। বেসিক্যালি আমার বয়ফ্রেন্ডের সঙ্গে দেখা হওয়ার পর, ওর সূত্রে কলকাতার ফ্যাশন আমি ঘুরে দেখেছি। তাই ওটা নিয়ে এখনও কিছু ভাবা হয়ে ওঠেনি।

ইউটিউব তোমার কণ্ঠস্বর আরও জোরালো করেছে? সমাজকে বদলাতে পেরেছ?

( দীর্ঘশ্বাস ) সোজা ভাষায় বলতে গেলে, না! এখনও পুরোটা পারিনি। চেষ্টা করছি, আগে যদি ১০ টা মানুষ নাক উঁচু করত এখন হয়তো ৮ জন করে। তবে হাল ছাড়লে চলবে না। সবকিছুতেই ভাল খারপ আছে। আমি সেরকমভাবে নেতিবাচক কিছু দেখি নি। বা থাকলেও হয়তো চোখে পড়েনি। ইউটিউবের মাধ্যমে আমি বার্তা দিতে চেয়েছিলাম, এটুকু বলব সমকামিতা ভনিতা করার বস্তু নয়, যারা সমাজকে বদলাতে চায় তাঁরা কিছুতেই সিম্প্যাথি আদায় করতে পারে না। হ্যাঁ, এটুকু অবশ্যই ঠিক যে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাষা আরও বেশি করে প্রকাশ পায়।

viral laughtersane niranjan mondal viral youtuber
Advertisment