নাকা চেকিং চলাকালীন বিদ্যুৎ দফতরের এক কর্মীর মোটর বাইক থামিয়ে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখা বলেন কর্তব্যরত পুলিশ আধিকারিক। কাগজ-পত্র সঙ্গে না থাকায় সেসব তিনি দেখাতে পারেন নি এরপরই কর্তব্যরত পুলিশ আধিকারিক বিদ্যুৎ দফতরের কর্মীর কাছ থেকে জরিমানা স্বরূপ ৫০০ টাকা আদায় করেন।
এতেই বেজায় চটে যান ওই কর্মী। বাড়ি ফিরেই তিনি ওই পুলিশ কর্মীকে কীভাবে শায়েস্তা করা যায় তা ভাবতে শুরু করেন। তখনই তার মাথায় আসে এজ আজব বুদ্ধি। তিনি ঠিক করেন এক এক জন পুলিশ আধিকারিককে নয়, গোটা থানাকেই শায়েস্তা করতে হবে। যেমন ভাবা তেমন কাজ। তিনি সন্ধ্যার সময় হটাত করেই বিদ্যুৎ বিভাগের সহকর্মীদের ডেকে থানায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেন। সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি জানান, “ থানায় বিদ্যুতের মিটার ছিল না, এটা অবৈধ তাই আমি লাইন কেটে দিয়েছি”। জানা গিয়েছে বিদ্যুৎ দফতরের ওই কর্মীর নাম স্বরূপ।
আরও পড়ুন: <রাস্তার ধারে সাজানো লটারির টেবিলেই স্বপ্ন বুনছেন ‘এমএ পাশ লটারিওয়ালা’>
সূত্রের খবর হরদাসপুর থানার পুলিশ কর্মীদের ওপর ওই লাইনম্যান এতটাই বিরক্ত ছিলেন যে তিনি তার সহকর্মীদের ডেকে থানায় বিদ্যুৎ সংযোগ কেটে দেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্বরূপের এক সঙ্গী জানান, ‘হরদাসপুর থানার এক আধিকারিক মোদি সিং নাকা তল্লাশি চালানোর সময় তার খপ্পরে পড়েন স্বরূপ। তার কাছে বাইকের কোন কাগজ না থাকায় ওই পুলিশ কর্মী স্বরূপের কাছ থেকে ৫০০ টাকা জরিমানা আদায় করেন। অনেক অনুনয়-বিনয়ের পরেও পুলিশ কর্মী স্বরূপের কোন কথা শুনতে রাজি না হওয়ায় ওই পুলিশ কর্মীকে শায়েস্তা করতেই থানার লাইন কেটে দেন স্বরূপ’।এই ঘটনায় অসস্তিতে পড়েছে বিদ্যুৎ দফতর। বিদ্যুৎ দফতরের আধিকারিকরা এই ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। উত্তরপ্রদেশের এই ঘটনা ঝড় তুলেছে সারা দেশেই। সকলেই লাইনম্যানের এমন আজব দাওয়াইয়ে স্তম্ভিত হয়েছেন।