New Update
/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2022/03/cats-20.jpg)
লন্ডনের (London) হোয়াইটচ্যাপেল স্টেশনে (Whitechapel Station) বসল বাংলায় লেখা সাইনবোর্ড।
গৌরবগাঁথার সঙ্গেই জন্ম হলো আরেক ইতিহাসের।
লন্ডনের (London) হোয়াইটচ্যাপেল স্টেশনে (Whitechapel Station) বসল বাংলায় লেখা সাইনবোর্ড।
লন্ডনেও জয়জয়কার বাংলার। সুদূর বিদেশে শুধুমাত্র বাঙালিকে সম্মান জানাতেই এমন পদক্ষেপ যুক্ত্রাজ্যের। লন্ডনের (London) হোয়াইটচ্যাপেল স্টেশনে (Whitechapel Station) বসল বাংলায় লেখা সাইনবোর্ড। ইংরেজির পাশাপাশি বাংলাতেও লেখা হয়েছে যুক্তরাজ্যের হোয়াইটচ্যাপেল আন্ডার গ্রাউন্ড স্টেশনের নাম। লিখেছে রেল কর্তৃপক্ষ। এর আগে বাংলাতে স্টেশনের নাম লেখার আশ্বাস দিয়েছিল রেল কর্তৃপক্ষ। আবার তারই বাস্তবায়ন হল। এই ছবি ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্বের নানান প্রানে। দিন কয়েক আগেই সংস্কারের পর চালু করা হয়েছে স্টেশনটি। এখান থেকেই সংযুক্ত হবে ক্রস রেল। বাংলাদেশি অধ্যুষিত সেই স্টেশনে প্রতিদিন হাজার হাজার ভিন্ন ভাষাভাষীর মানুষ চলাচল করে থাকেন। যুক্তরাজ্যে বসবাসকারী বাঙালিরা রেল কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তে খুশি।
পূর্ব লন্ডনের হোয়াইটচ্যাপেল স্টেশন (Whitechapel Station) অঞ্চল বলতে গেলে ছোটখাটো পশ্চিমবঙ্গ বা বাংলাদেশ। ইংল্যান্ডের থাকা ৭০ শতাংশ বাঙালিই থাকেন এই অঞ্চলে। আচমকা গিয়ে পড়লে কলকাতা বা ঢাকা বলে ভ্রম হয়। শুধু স্টেশনের নামেই নয়, এই অঞ্চলের অনেক দোকানের নামেও রয়েছে বাংলা। সূত্রের খবর, লন্ডনে বসবাসকারী বাঙালিদের বহুদিনের দাবি মেনেই এই পরিবর্তন। প্রতিদিন ওই স্টেশন দিয়ে শুধু বাঙালি নন, যাতায়াত করেন প্রায় বিভিন্ন ভাষাভাষী, বিভিন্ন দেশের হাজার হাজার মানুষ। সেখানে আলাদা করে বাংলা ভাষায় সাইনবোর্ড, বাঙালি হিসেবে বিশেষ সম্মানের বলেই মনে করছেন সেখানকার বাংলা কমিউনিটি।
উল্লেখ্য, হোয়াইটচ্যাপেল স্টেশনের নাম বাংলায় লেখার জন্য নানা মহল থেকে বিভিন্ন সময় দাবি উঠে আসছিল। গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর যুক্তরাজ্যের বাংলা কমিউনিটি স্টেশনের নাম বাংলায় লেখার আবেদন জানান হয়। সেই আবেদনকে স্বীকৃত দিয়েই হোয়াইটচ্যাপেল স্টেশনের নাম বাংলায় লেখা হয়। এই হোয়াইট চ্যাপেলেই মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে শহীদ মিনার। পাশেই বাংলাদেশিদের আদি ঠিকানা ব্রিকলেনসহ ইস্ট লন্ডন মসজিদ, ব্রিকলেন মসজিদ, আশেপাশের বেশীরভাগ দোকানের নামও বাংলা হরফে লেখা। সেই গৌরবগাঁথার সঙ্গেই জন্ম হলো আরেক ইতিহাসের।