করোনার দাপটে নাজেহাল অবস্থা দেশের অর্থনীতির। ইতিমধ্যেই পরিসংখ্যান অনুসারে ডিসেম্বরেই চওড়া হয়েছে বেকারত্বে সংখ্যা। এবার করোনা কালে এম.এ পাশ করে ফুচকা বিক্রি করতে দেখা গেল নদিয়ার শিম্পি সাহাকে। কৃষ্ণনগর শক্তিনগর এলাকার বাসিন্দা শিম্পি। বরাবরই কিছু করার ইচ্ছা ছিল তার। বাধ সাধলো করোনা। কিন্তু দমে যাওয়ার মেয়ে শিম্পি নয়। নিজের পায়ে দাঁড়ানোর অদম্য জেদ থেকেই ফুচকা স্টল খোলেন তিনি।
সরকারি চাকরির জন্য ট্রেনিংয়ের পাশাপাশি ব্যবসাতেও প্রচণ্ড ঝোঁক। সেই সঙ্গে ভালোবাসেন ফুচকা খেতে। কী ব্যবসা করবেন সেটা ভাবতে তাই আর বেশি সময় নষ্ট করেননি তিনি। গত ডিসেম্বর মাস থেকে তিনি শুরু করেছেন ফুচকার ব্যবসা। কাঁঠালতলায় ফুচকার স্টল দিয়েছেন তিনি। মাত্র কয়েকদিনের মধ্যেই তাঁর হাতের ফুচকার জাদুতে মজে সকলে।
ইতিমধ্যেই অনেক দূর-দূরান্ত থেকে মানুষজন আসেন তাঁর দোকানের ফুচকা খেতে। শিম্পি জানান, ব্যবসা শুরু করার আগে তিনি ভেবেছিলেন হয়ত অনেক রকম নেতিবাচক কথা শুনতে হবে তাঁকে! কিন্তু তার এই অভিনব উদ্যোগে সায় দিয়েছেন সবাই! বিশেষ করে মেয়েরা। তিনি আরও জানান, এরকম ভাবেই চলতে থাকলে ভবিষ্যতে ইচ্ছে আছে একটি ক্যাফে খোলার। শিম্পির অভিনব উদ্যোগে খুশি পরিবার থেকে শুরু করে পাড়া-প্রতিবেশীরা। এম.এ পাশ করে চায়ের দোকানে এর নজির গড়েছিলেন হাবড়ার টুকটুকি দাস। এবার ফুচকার স্টল করে তাক লাগালেন আরও এক তরুণী।