কঠোর প্রশাসকের তকমা উধাও। ভোগ রান্না থেকে পুজোর জোগাড়, বাড়ির কালী পুজোয় নিজে হাতেই সব করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যাপাধ্যায়। বিকেল গড়িয়ে অন্ধকার নামতেই বাড়ির উঠোনে দেখা যায় মুখ্যমন্ত্রীকে। সব কাজের তদারকিতে ব্যস্ত তিনি। পরিচিত মুখ দেখলেই সামনে গিয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন। পাশাপাশি, পুজোর মালা থেকে অন্যান্য সামগ্রী দিয়ে পুরোহিতকে সাহাযয়তা করছেন। একই সঙ্গে দর্শনার্থীদের দেখভাল করেছেন তিনি।
নিজেই বিভিন্ন সময়ে বলেছেন কাজ ছাড়া তিনি থাকতে পারেন না। রবিবাসরীয় সন্ধ্যাও তার ব্যাতিক্রম নয়। প্রবল ব্যস্ততার মাঝেই পুজোর ভোগ রান্না করতেও দেখা গেল দিদিকে।
মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির কালীপুজো দেখতে প্রচুর মানুষ ভিড় জমান।। এ বারও ব্যতিক্রম হয়নি। রাজ্য মন্ত্রিসভার বর্ষীয়ান সদস্য থেকে রাজ্যের উচ্চপদস্থ আমলা, শীর্ষস্থানীয় পুলিশকর্তা থেকে শিল্প ও বিনোদন জগতের মান্যগণ্যরা উপস্থিতিতে ছিলেন। সন্ধ্যায় থেকেই দেখা যায়, শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, কলকাতর মেয়র ফিরহাদ হাকিম, বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়, তৃণমূল নেতা এমপ্রকাশ মিশ্রদের।
আরও পড়ুন: ‘ভাইফোঁটায় যেতে চেয়েছিলাম, মমতা কালীপুজোয় ডাকলেন’
রাজভবন-নবান্ন সংঘাত এড়িয়ে নিজের বাড়ির পুজোয় রাজ্যপাল সস্ত্রীক জগদীপ ধনকড়কে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যপাল আগেই জানিয়েছিলেন সেই আমন্ত্রণ রক্ষা করবেন তিনি। রবিবার সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ মমতার কালীঘাটের বাড়িতে যান রাজ্যপাল। উষ্ণ আতিথেয়তায় সস্ত্রীক ধনকড়কে স্বাগত জানান মুখ্যমন্ত্রী নিজেই। প্রায় দু'ঘণ্টা সেখানে ছিলেন তিনি।
প্রথমে নিজের বাড়ি রাজ্যপালকে ঘুরিয়ে দেখান মমতা। ঘর থেকে বেড়িয়ে এসে অন্যান্য অতিথি-অভ্যাগতদের সঙ্গে সস্ত্রীক রাজ্যপালের আনুষ্ঠানিক পরিচয় করিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী। এরই মাঝে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে দেখে এক গাল হেসে তাঁকে আলিঙ্গন করেন রাজ্যপাল। সাক্ষাৎ হয় স্পিকার, রাজ্য পুলিশের ডিজি ও রাজড্য়ের নিরাপত্তা উপদেষ্টার সঙ্গে। দেকা যায়, রাজ্যপালের পাশের চেয়ারেই বসেছেন মুখ্যমন্ত্রী। দফায় দফায় মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্যপালের মধ্যে কথাবার্তা হয়। পুজো বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় রাজ্যপাল বলেন তিনি আপ্লুত।
রাত বাড়তেই শুরু হয় পুজো। সেখানে ঠায় বসে থাকতে দেখা যায় মুখ্যমন্ত্রীকে। যজ্ঞ করেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। পুষ্পাঞ্জলি দেন মমতা।