ভারতীয় সেনায় এখন পুরুষদের পাশাপাশি মহিলারাও সক্রিয় অংশ নিচ্ছেন। সেই সঙ্গে চলছে আধুনিকীকরণের কাজও। সম্প্রতি সামনে এসেছে এমন এক কাহিনী, যে কাহিনীতে প্রত্যেক ভারতীয গর্ব অনুভব করবেন। সিয়াচেনকে ভারতের সবচেয়ে বিপজ্জনক ‘যুদ্ধক্ষেত্র’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। সেই হাড়হিম করা ঠান্ডায় প্রথমবারের মতো একজন মহিলা সেনা আধিকারিক ক্যাপ্টেন শিবা চৌহানকে মোতায়েন করা হয়েছে।
কঠোর প্রশিক্ষণের পরে, ক্যাপ্টেন শিবা চৌহানকে এখানে মোতায়েন করা হয়। ক্যাপ্টেন শিবা সিয়াচেনে মোতায়েন প্রথম মহিলা ভারতীয় সেনা আধিকারিক। বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু যুদ্ধক্ষেত্রে হিসাবে সিয়াচেনের নাম উঠে আসে। আর সেখানেই এই প্রথম কোনও ভারতীয় মহিলাকে মোতায়েন করল ভারতীয় সেনা। ভারতীয় সেনার 'সিয়াচেন ব্যাটেল স্কুল' থেকে তিনি প্রশিক্ষণ নেন। তারপরই তাঁকে মোতায়েন করা হয় বিশ্বের সুউচ্চ পর্বতমালার এই যুদ্ধক্ষেত্রে।
ভারতীয় সেনার তরফে জানানো হয়েছে, ‘বহু ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়ে ক্যাপ্টেন শিবা নিজের অপ্রতিরোধ্য প্রতিশ্রুতিতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ থেকে নিজের প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করেছেন। আর তাঁকে নিয়োগ করা হচ্ছে সিয়াচেন হিমবাহে।’ ভারতীয় সেনার এই মহিলা অফিসারকে তিন মাসের জন্য সিয়াচেনে মোতায়েন করা হয়েছে।
সিয়াচেনে প্রচণ্ড ঠান্ডা। তাপমাত্রা এখানে সবসময় মাইনাস ডিগ্রি সেলসিয়াসে। প্রায় তিনহাজার সেনা জওয়ান সবসময় সিয়াচেনে মোটায়েন থাকে। হেলিকপ্টারে করে জওয়ানদের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সরবরাহ করা হয়। অফিসার্স ট্রেনিং অ্যাকাডেমিতে তাঁর প্রশিক্ষণের সময়ই তিনি নিজের দক্ষতা দেখিয়ে সকলের ত্থেকে নিজেকে আলাদা প্রমাণ দেন শিবা।এরপর দেশে এক ঐতিহাসিক মাইলস্টোনে পা রাখেন ক্যাপ্টেন শিবা চৌহান। সিয়াচেনে তিনমাসের জন্য মোতায়েন করা হল ভারতীয় সেনার এই সাহসী মহিলা আধিকারিককে। ভারতীয় সেনাবাহিনীর ফায়ার অ্যান্ড ফিউরি কর্পস তাদের অফিসিয়াল টুইটার অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে ক্যাপ্টেন শিব চৌহানের এই সাফল্যের কথা জানিয়েছেন।