Ratan Tata's Will: মৃত্যুর পরও রতন টাটাকে নিয়ে মানুষের মধ্যে কৌতুহলের কোন শেষ নেই। প্রয়াত শিল্পপতি আজীবন তিনি তাঁর কর্মের মধ্যে দিয়ে মানুষের জয় করেছেন। মৃত্যুর কয়েক সপ্তাহ পার হলেও এখনও ভারতের এই ধনকুবেরকে নিয়ে চর্চার কোন বিরাম নেই। ইতিমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় শিরোনামে রতন টাটার উইল।
রতন টাটা, দেশের তাবড় শিল্পপতিদের মধ্যে অন্যতম। তাঁর মোট ব্যক্তিগত সম্পত্তির পরিমাণ প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকারও বেশি। এমন পরিস্থিতিতে সকলের মধ্যেই প্রশ্ন এত বিপূল পরিমাণ টাকা কাকে দিলেন রতন টাটা? প্রয়াত শিল্পপতির উইলে এমন এক ব্যক্তির নাম রয়েছে যিনি রতন টাটার আত্মীয় ছিলেন না। স্রেফ রান্নার কাজ করতেন। তাঁকেও কোনভাবে বঞ্চিত করেন নি রতন টাটা।
ব্যক্তিগত ভিডিও ফাঁস! সমালোচনার ঝড়, কে এই তরুণী?
রতন টাটার মোট সম্পত্তির পরিমাণ প্রায় ১০ কোটি টাকারও বেশি। সেখান থেকে তিনি তার ছোট ভাই জিমি টাটা, তার সৎ বোন শিরিন এবং ডিনা ছাড়াও টাটা ফাউন্ডেশনকে তিনি তার মোট সম্পত্তির একটা বড় অংশ দান করেছেন। এর পাশাপাশি পরিবারের সদস্য না থাকলেও এমন একজন ব্যক্তির কথা উইলে উল্লেখ করেছেন রতন টাটা যার ভূমিকা টাটার জীবনে ছিল অমূল্য।
রতন টাটা, তাঁর উইলে প্রিয় পোষ্য টিটোর যাতে তাঁর অবর্তমানে কোনপ্রকার অসুবিধা না হয় তারও ব্যবস্থা করে গিয়েছেন। টিটোকে দেখাশোনার দায়িত্ব রাজনের উপর দিয়ে গিয়েছেন। যিনি দীর্ঘ দিন ধরে টাটার রান্নার দায়িত্ব সামেলেছেন। যতদিন প্রিয় পোষ্য বেঁচে থাকবে ততদিন টিটোর যত্ন নেওয়ার জন্য যা যা খরচ সব কিছুই রাজন করতে পারবেন বলে উইলে উল্লেখ করেছেন টাটা।
দীর্ঘ ৩০ বছর রতন টাটার সেবায় নিযুক্ত ছিলেন যে সুবাইয়া, তাঁর নামও রয়েছে উইলে। বিদেশে যেখানেই যেতেন রতন টাটা, তার জন্য উপহার আনতে ভুলতেন না। উইলে পোষ্য থেকে বাড়ির কাজের লোক সকলের জন্যই অর্থ বরাদ্দ করে গিয়েছেন তিনি।
পাশাপাশি, উইলে শান্তনু নাইডুর নামও রয়েছে। জানা গিয়েছে, শান্তনুর সংস্থায় এতদিন যে অংশীদারিত্ব ছিল রতন টাটার, তা ছেড়ে দিয়েছেন তিনি। বিদেশে পড়াশোনার জন্য যে ঋণ নিয়েছিলেন শান্তনু, তা-ও মিটিয়ে দিয়ে গিয়েছেন রতন টাটা। টাটা গ্রুপের ঐতিহ্য অনুসারে, টাটা সন্সে তার অংশীদারিত্ব 'রতন টাটা ফাউন্ডেশন' কে দেওয়া হবে।
রতন টাটার সংগ্রহে ছিল ২০-৩০টি বিলাসবহুল গাড়ি। জানা গিয়েছে এই গাড়িগুলি পুনের কোনও মিউজিয়ামে রাখা হতে পারে। বা টাটা গ্রুপ সেগুলি নিলামে তুলতে পারে।