/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2022/12/cats-203.jpg)
দেশের প্রথম মহিলা ফাইটার পাইলট হতে চলেছেন উত্তরপ্রদেশের মির্জাপুরের বাসিন্দা সানিয়া মির্জা। সানিয়া এনডিএ অর্থাৎ ন্যাশনাল ডিফেন্স অ্যাকাডেমি পরীক্ষায় ১৪৯ তম স্থান অর্জন করেছে। তিনিই হবেন উত্তরপ্রদেশ থেকে প্রথম মহিলা মুসলিম ফাইটার পাইলট। ২৭ ডিসেম্বর পুনেতে প্রশিক্ষণ শুরুর মাধ্যমে তার স্বপ্ন পূরণ করতে চলেছেন সানিয়া।
মির্জাপুর থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে যশোভার গ্রামের বাসিন্দা সানিয়া। গ্রামের স্কুল থেকেই দশম শ্রেণি পর্যন্ত পড়েন তিনি। মির্জাপুরে এসে দ্বাদশ শ্রেনির পড়া শেষ করেন। ছোট থেকেই হিন্দি মিডিয়ামে পড়াশোনা করেছেন সানিয়া। সানিয়ার বাবা শহিদ আলী একজন টিভি মেকানিক। গ্রামের বাড়িতে তার একটি দোকান আছে। এনডিএ-র ফল প্রকাশের পর সারা দেশে খবরের শিরোনামে আসেন সানিয়া।
সানিয়ার কথায়, "গ্রামে কোনো ভাল স্কুল নেই, তাই মির্জাপুরের গুরু নানক গার্লস ইন্টার কলেজে ভর্তি হয়েছিলাম। তাই, দ্বাদশ পাসের পর মির্জাপুরের একটি কোচিংয়ে এনডিএ-র জন্য প্রস্তুতি নিতে শুরু করি।" তিনি আরও বলেন, "আমি যখন প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম, পরিচিত সকলেই আমাকে হিন্দি-ইংরেজি মাধ্যম নিয়ে ভয় দেখিয়েছিল, বলত ফোর্সে ইংরেজি জানা একান্ত দরকার। তবে, আমি কোনও সমস্যায় পড়িনি। আমি শুধুমাত্র হিন্দি মিডিয়ামেই পড়াশোনা করেছি। আমি সায়েন্সে বরাবরই খুব আগ্রহী। আমি শৈশব থেকেই ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার স্বপ্ন দেখতাম। দেশের প্রথম মহিলা ফাইটার পাইলট অবনী চতুর্বেদীকে আমি আমার আদর্শ মনে করি'।
দেশের প্রথম মুসলিম মহিলা ফাইটার বিমান চালক হতে চলেছেন মির্জাপুরের বাসিন্দা সানিয়া মির্জা। NDA পরীক্ষায় বিরাট সাফল্য অর্জন করেছেন তিনি। পরীক্ষায় সানিয়ার র্যাঙ্ক ১৪৯। সানিয়া মির্জাপুর জেলার যশোভার এলাকার বাসিন্দা। বাবা শহীদ আলী, পেশায় এক টিভি মেকানিক। মেয়ের এই মাইলফলক প্রসঙ্গে সানিয়ার বাবা শহীদ বলেছেন, ছোট থেকে মেয়ে পড়াশুনার প্রতি মনোযোগী। ও সবসময় ওর লক্ষ্যে অবিচল। বরাবরই ভারতীয় সেনাবাহিনীতে যোগদানের ইচ্ছা ছিল ওর। অবশেষে স্বপ্ন পূরণের পালা'।
সানিয়া মির্জা দেশের প্রথম মুসলিম মহিলা ফাইটার পাইলট (আইএএফ ফাইটার পাইলট) হতে চলেছেন, পরিবারের সকলে তার এই বিরাট কৃতিত্বের জন্য গর্বিত। সানিয়া উত্তরপ্রদেশের মির্জাপুরের বাসিন্দা। ২৭ ডিসেম্বর পুনেতে NDA অ্যাকাডেমিতে ট্রেনিংয়ে যোগ দিতে চলেছেন। চলতি বছর NDA পরীক্ষায় মোট ৪০০টি আসন ছিল। যার মধ্যে দুটি আসন ছিল ফাইটার পাইলটদের জন্য। প্রথম মহিলা পাইলট অবনী চতুর্বেদীই জীবনের অনুপ্রেরণা। তবে প্রথমবারের চেষ্টায় সাফল্য না পেলেও তিনি হাল ছাড়েননি এবং দ্বিতীয়বার কঠিন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েই স্বপ্নপূরণ সানিয়ার।