একেই বলে, লিডিং ফ্রম দ্য ফ্রন্ট! করোনা কালে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন অনেকেই। চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মী থেকে শুরু করে অনেক স্বেচ্ছাসেবকরা। সাফাইকর্মী, পুলিশরা তো রয়েইছেন। কিন্তু রাজনীতিবিদদের এই বিষয়ে বদনাম রয়েছে। অনেকেই নাকি মানুষের সেবায় এগিয়ে আসেন না। যাঁরা আসেন, সেটাও লোক দেখানো। কিন্তু এসবের মাঝে নেটিজেনদের মন জয় করলেন মিজোরামের মন্ত্রী। তিনি যা করলেন, তা সত্যিই প্রশংসনীয়।
ভিআইপি সংস্কৃতি ভুলে মিজোরামের বিদ্যুৎ মন্ত্রী আর লালজিরলিয়ানা হাসপাতালের ওয়ার্ডে সাফাই করলেন। হাতে সাফাই করার মপ নিয়ে তাঁর সেই সাফাই অভিযানের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় রীতিমতো ভাইরাল। চলতি সপ্তাহে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর জোরান মেডিক্যাল কলেজে কোভিড ওয়ার্ডে ভর্তি রয়েছেন তিনি। সেখানেই তিনি সাফাইকর্মীদের মতো পরিষ্কার করার কাজ করছেন। সেই ছবি দেখে সোশ্যাল মিডিয়ায় সবাই তাঁকে ধন্য ধন্য করছেন।
ইস্ট মোজোর রিপোর্ট অনুযায়ী, মন্ত্রীর স্ত্রী এবং ছেলে হোম আইসোলেশনে রয়েছেন। শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা কমে যাওয়ায় রাজ্যের একমাত্র কোভিড স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। শুক্রবার তাঁর এই সাফাই কাজের ছবি তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা হয়। ৭১ বছরের মিজো ন্যাশবলান ফ্রন্টের নেতা পরে জানিয়েছেন, তিনি হাসপাতালের সাফাই কর্মীদের লজ্জায় ফেলতে চাননি। বরং ওয়ার্ডের মেঝে নোংরা ছিল বলেই তিনি সাফাই কর্মীকে ডেকে পরিষ্কার করতে বলেন।
কিন্তু সাফাই কর্মী না আসায় তিনি নিজেই মেঝে পরিষ্কার করতে শুরু করে দেন। এ প্রসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, "ঘরদোরের মেঝে সাফ করা কোনও নতুন কাজ নয় আমার কাছে। বাড়িতে এবং অন্যত্র প্রয়োজন পড়লে আমি করি। মন্ত্রী বলে আমি সবার থেকে আলাদা হয়ে যাইনি। আমি মেঝে সাফ করে ডাক্তার বা নার্সদের লজ্জায় ফেলতে চাইনি। আমি শুধু সবাইকে শিক্ষা ও নেতৃত্বে দিয়ে উদাহরণ তৈরি করতে চাই।"