New Update
/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2020/06/1-LEAD-11.jpg)
গুয়াহাটির সেই চিকিৎসকের সেই ফেসবুক পোস্ট আপাতত গোটা দেশেই সাড়া ফেলে দিয়েছে। প্রত্যেকেই অবাক কীভাবে এই লম্বা মোবাইল ফোনের চার্জারের তার মূত্রনালিতে প্রবেশ করানো সম্ভব।
মূত্রনালিতে পাওয়া গেল ফোনের চার্জার। পেটে ব্যাথা নিয়ে রোগী ভর্তি হয়েছিলেন হাসপাতালে। জানিয়েছিলেন, মোবাইল চার্জার ভুল করে খেয়ে ফেলেছিলেন। তবে অস্ত্রোপচারের পরেই চক্ষু চরকগাছ সার্জনের। পাকস্থলী নয়, মোবাইল চার্জার বেরোল মূত্রথলি থেকে! যৌন উদ্দীপক হিসাবে তিনি মোবাইলের চার্জার ব্যবহার করছিলেন। সেটাই ঢুকে যায় মূত্রথলিতে।
এমনই সাড়া ফেলে দেওয়া ঘটনা এবার আসামে। তোলপাড় ফেলে দেওয়া ঘটনা নিজের ফেসবুক ওয়ালে শেয়ার করেছিলেন শল্য চিকিৎসক ওয়াল্লিউল ইসলাম। ৩০ বছরের সেই রোগীর ঘটনা উল্লেখ করে তিনি লেখেন, "অস্ত্রোপচারে অবাক কাণ্ড! ২৫ বছর শল্য চিকিৎসায় যুক্ত থাকার পরেও এমন ঘটনা এখনো আমাকে আশ্চর্য করে যায়। এমন ঘটনায় নিজের বিদ্যে বুদ্ধি পর্যন্ত চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে যায়।"
"পরিপাক নালিতে অস্ত্রোপচার করার পরেও কিছু পাওয়া যায়নি। তার পরিবর্তে মূত্রনালিতে মোবাইল ফোন চার্জারের তার পেলাম। প্রত্যেকেই নিশ্চয় বুঝতে পেরেছেন যে কীভাবে এই তার ঢোকানো হল!" এমনটা জানিয়ে সেই অস্ত্রোপচারের একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন তিনি। দেখা যাচ্ছে, অস্ত্রোপচার করে বের করা হচ্ছে লম্বা কালো তার, এক্স রে। তারপরে তিনি প্রশস্তি নিয়ে লিখেছেন, "এই বিশ্বে সবকিছুই সম্ভব। সত্যিই!"
গুয়াহাটির সেই চিকিৎসকের সেই ফেসবুক পোস্ট আপাতত গোটা দেশেই সাড়া ফেলে দিয়েছে। প্রত্যেকেই অবাক কীভাবে এই লম্বা মোবাইল ফোনের চার্জারের তার মূত্রনালিতে প্রবেশ করানো সম্ভব। চিকিৎসক অবশ্য জানিয়েছেন, অস্ত্রোপচার পুরোপুরি সফল। রোগীও ধীরে ধীরে সেরে উঠছেন। তবে সেই রোগীর মানসিক চিকিৎসার কথা বলেছেন চিকিৎসক।
কেন এমনটা করলেন সেই রোগী! বিশেষজ্ঞ মহল জানাচ্ছে, যৌন উদ্দীপক হিসাবেই মোবাইল ফোনের চার্জার ব্যবহার করেছিলেন উনি। তবে মানসিক বিকৃতির প্রসঙ্গের কথাও জানিয়েছেন সবাই।